তখনও ঝাঁসি স্টেশন আসতে কিছুটা দেরি। আগ্রা ছেড়ে আসা কেরালা এক্সপ্রেস যাত্রীদের নিয়ে ছুটছে দুরন্ত গতিতে। আচমকাই বেশ কয়েকজন অসুস্থ লাগছে বলে জানান। অসহ্য গরমে তাঁরা ক্রমশ শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। তখন তাঁদের চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ঝাঁসি স্টেশন আসা অবধি চিকিৎসা পাওয়ার উপায় নেই। সহযাত্রীরা তাই ঠিক করেন একটু অপেক্ষা করে ঝাঁসি এসে গেলেই তাঁদের সুস্থ করার বন্দোবস্ত করবেন। এদিকে ক্রমশ নেতিয়ে পড়েন ৫ জন যাত্রী।
ঝাঁসি স্টেশন যখন আসে দ্রুত তাঁদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন সহযাত্রীরা। কিন্তু চিকিৎসার আর দরকার পড়েনি ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের। ঝাঁসি স্টেশন আসার আগেই ট্রেনে তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল। পঞ্চম জনের মৃত্যু না হলেও তিনি সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। মৃত ৪ জনের ১ জনের বয়স ৮০ বছর। একজন ৬৯ ও বাকি ২ জন ৭১ বছর বয়স্ক। সকলেই বৃদ্ধ। ফলে তাঁরা ওই প্রবল গরমের সঙ্গে যুঝে উঠতে পারেননি বলে মনে করছেন সহযাত্রীরা। যিনি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তাঁর বয়সও ৭১ বছর।
৬৮ জনের একটি দল দক্ষিণ ভারত থেকে এসেছিল বারাণসী ও আগ্রা ঘুরতে। সোমবার আগ্রা থেকে কোয়েম্বাটুর ফিরছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না তাঁদের ৪ জনের। বাকিরাও সকলে যে সুস্থ তা নন। অনেকেই উত্তর ভারতের অস্বাভাবিক তাপমাত্রা সহ্য করে উঠতে পারছিলেন না। তবু সেই গরমের সঙ্গে লড়াই করতে পেরেছেন। এই ৪ জন পারলেন না। ট্রেনে সফরকালেই মৃত্যু হল তাঁদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা