১৩০ জন শিখ ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ ঠায় বসে রইলেন আটারি স্টেশনে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এই স্টেশন ভারতে। এখান থেকেই সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া যায়। প্রতি বছর এই সময় পঞ্চম শিখ গুরু গুরু অর্জন দেব-এর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন ভারত থেকে পাকিস্তানে যান। দিনটি পালন করেন। তারপর ফিরে আসেন ভারতে। এবারও তাঁরা পাকিস্তানের থেকে ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন। আটারি স্টেশনে সঠিক সময়ে তাঁরা পৌঁছে গেলেও পাকিস্তানের দিক থেকে ট্রেনটিকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই ১৩০ জন মানুষ ঠায় সেখানে অপেক্ষা করতে থাকেন।
অপেক্ষারতদের দাবি, বিদেশমন্ত্রক ও রেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনও যোগাযোগ না থাকায় তাঁদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তানের দিকে থেকে ট্রেন প্রবেশ করতে পারেনি। অপেক্ষারতদের আরও অভিযোগ তাঁরা আটারি স্টেশনে অপেক্ষা করেই চলেছেন। অথচ এখানে পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত নেই। শৌচাগার নেই। ফলে সমস্যায় কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। রেলের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে তাঁদের হাতে যে মুহুর্তে ছাড়পত্র পৌঁছবে, তাঁরা পাকিস্তান থেকে ট্রেনকে প্রবেশ করতে দেবেন।
বছরে ৪ বার শিখ সম্প্রদায়ের তরফে একটি করে দল পাকিস্তানে প্রবেশ করে। একেবারেই ধর্মীয় উৎসব পালনের কারণে এই মানুষগুলি সে দেশে প্রবেশ করেন। একটি করেন শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানকের জন্মস্থান নানকারা সাহিবে। সেখানে প্রতি নভেম্বর মাসে গুরু নানকের জন্মদিবস পালনে হাজির হন তাঁরা। একবার এই সময়ে যান পঞ্চম গুরু গুরু অর্জন দেবের মৃত্যুবার্ষিকীতে। একবার যাত্রা অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিলে বৈশাখী পালনের জন্য। আর একবার মে মাসে হয় শিখ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজা রঞ্জিত সিং-এর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা