বিধায়কদের জিনিসপত্রই সুরক্ষিত নয়, তো রেলে সফররত সাধারণ মানুষ কোথাকার কে! কামরা থেকে বিধায়কের টাকা, কাগজপত্র চুরি করে পালাল চোরেরা। শুধু তাঁর বলেই নয়, তাঁর স্ত্রীর পার্সও চুরি করে চোরেরা। যেখানে ছিল ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ও কিছু নগদ টাকাও। ওই বিধায়ক বুঝতেও পারেন তাঁর মালপত্র চুরি হচ্ছে। তখন অবশ্য দেরি হয়ে গেছে। সেই অবস্থাতেই তিনি এক চোরের পিছু ধাওয়া করে ছোটেনও। কিন্তু স্টেশনের ভিড়ে মিশে সে চোর নিমেষে বেপাত্তা হয়ে যায়। তবে ২ বিধায়কের জিনিসপত্র চুরি হলেও ঘটনা ২টি ঘটেছে ২টি পৃথক জায়গায়।
মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলার চিখালি এলাকার বিধায়ক কংগ্রেসের রাহুল বোন্দ্রে স্ত্রী রুশালিকে নিয়ে মালকাপুর থেকে বিদর্ভ এক্সপ্রেস ধরেন মুম্বই যাওয়ার জন্য। সোমবার সকালে থানে স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ায়। সেই সময় চোরদের একটি দল ওই কামরায় হাজির হয়। তারপর রাহুলের দরকারি কাগজপত্রের ফাইল ও তাঁর স্ত্রীর পার্স থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড নিয়ে চম্পট দেয়। রাহুল বোন্দ্রে বুঝতেও পারেন চুরির ঘটনা। এক চোরের পিছু ধাওয়া করেন তিনি। কিন্তু সে ভিড়ে মিশে পালায়।
ওই একই থানে স্টেশনে দেবগিরি এক্সপ্রেসে ছিলেন মেখারের শিবসেনা বিধায়ক সঞ্জয় রাইমুলকর। তিনি জলনা স্টেশন থেকে ট্রেন ধরেন। যাচ্ছিলেন মুম্বই। তাঁর ব্যাগও সাফ করে দেয় চোরেরা। ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও দরকারি কাগজের ফাইল চুরি হয়। ২ বিধায়কই আলাদা করে বুক করা কামরায় যাত্রা করছিলেন। তারমধ্যেও চুরি করে চম্পট দিল চোরেরা। এতেই অবাক হচ্ছেন সকলে।
২ বিধায়কই মুম্বইয়ের স্টেশনে পৌঁছে জিআরপি-তে অভিযোগ দায়ের করেন। বিস্তারিতভাবে জানান তাঁদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র সম্বন্ধে। জিআরপি অভিযোগ গ্রহণ করেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। একই স্টেশন থেকে ২টি চুরির ঘটনায় জিআরপি-র ওপরও চাপ আসছে। ২ বিধায়কের জিনিসপত্র চুরি বলে কথা! তবে এখনও চোরদের নাগাল পেতে অপারগ জিআরপি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা