দিল্লি থেকে লখনউ। এই ২ শহরের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টিকারী ট্রেন তেজস এক্সপ্রেস-ই হতে চলেছে ভারতের প্রথম বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত ট্রেন পরিষেবা। ওপেন বিডিং পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে এই ট্রেনটিকে বেসরকারি সংস্থার পরিচালনায় ছেড়ে দেবে রেল মন্ত্রক। এমনই আরও একটি রুট খুঁজছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। সেই রুটের একটি ট্রেনকেও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। ১০০ দিনের মধ্যে বেসরকারি হাতে এই ট্রেন পরিষেবা চালু হবে। তবে তেজস ও অন্য যে রুট বেছে নেওয়া হবে সেই রুটের ট্রেন, ২টিই ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে যাতায়াত করবে।
দিল্লি থেকে লখনউ। এই রুটে যাতায়াতের জন্য তেজস এক্সপ্রেস তৈরি হয়েছে বিলাসবহুলভাবে। ট্রেনে রয়েছে ওয়াইফাই, বই পড়ার জন্য আলো, আরামদায়ক গদিমোড়া বসার আসন, বিমানের মত ব্যক্তিগত এলইডি স্ক্রিন যেখানে বিনোদন ও তথ্য সবই ইচ্ছামত পাবেন যাত্রীরা, বায়ো টয়লেট, মোবাইল চার্জের জন্য পয়েন্ট সহ আরও নানা সুবিধা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেই রুটকেই বেসরকারি হাতে দিচ্ছে যে রুট ২টি পর্যটন ক্ষেত্রকে জুড়বে।
আপাতত তেজস এক্সপ্রেস আনন্দ নগর রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড় করানো রয়েছে। এটি সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে লখনউ থেকে ছেড়ে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে দিল্লি পৌঁছবে। আর দিল্লি থেকে বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে ছেড়ে লখনউ জংশন পৌঁছবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। সপ্তাহে ৫ দিন এই ট্রেন যাতায়াত করবে। কেবল বৃহস্পতিবার ও রবিবার চলবে না।
ভারতীয় রেল জানাচ্ছে, আপাতত দ্বিতীয় রুটের খোঁজ চলছে। ২টি রুটেই পরীক্ষামূলকভাবে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা ট্রেন চালিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত লখনউ দিল্লি রুটে আরও অনেক ট্রেন রয়েছে। যা আগামী দিনেও ভারতীয় রেল দ্বারাই পরিচালিত হবে। সরকারি পরিচালন ব্যবস্থার মধ্যেই থাকবে সেগুলি। এখন দিল্লি লখনউ রুটেই ৫৩টি ট্রেন যাতায়াত করে। এদিকে বেসরকারি হাতে তেজস এক্সপ্রেসকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছে রেলের বিভিন্ন কর্মী সংগঠন। যদিও সেসব আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রেল কর্তৃপক্ষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা