বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শিয়ালদহের দিকে আসছিল কল্যাণী সীমান্ত লোকাল। কল্যাণী স্টেশন ছাড়ছিল ট্রেনটি। তখনই দৌড়ে এসে মহিলা কামরায় উঠে পড়ে এক যুবক। ট্রেন তখনও গতি নেয়নি। মহিলারা প্রতিবাদ জানিয়ে ওই যুবককে সাধারণ কামরায় যাওয়ার কথা বলেন। এক যুবতীই সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ জানান।
মহিলা কামরা ছেড়ে সাধারণ কামরায় যাওয়ার জন্য ওই যুবককে কড়া ভাষায় চাপ দিতেই পাল্টা ওই যুবক পকেট থেকে ছুরি বার করে। তারপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই বছর ৩২-এর কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা যুবতীকে কোপাতে শুরু করে। এই অবস্থা দেখে মহিলা কামরায় তখন চিৎকার, আর্তনাদ করে ওঠেন মহিলারা। অনেকে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। ট্রেন তখনও ধীরেই চলছিল।
মহিলা কামরা থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে দ্রুত সেখানে ছুটে আসেন কয়েকজন হকার ও কয়েকজন ট্রেন যাত্রী। এদিকে ছুরির দিয়ে কোপানোর পর ট্রেনের উল্টো দিকের দরজা দিয়ে লাফ মেরে অন্ধকারে মিলিয়ে যায় ওই যুবক। ধাওয়া করেও তার নাগাল পাননি কেউ। এদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবতীকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যাত্রীরা এই ঘটনার পর ফের একবার রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভর সন্ধেবেলা এভাবে কল্যাণীর মত স্টেশনে মহিলা কামরায় উঠে এক মহিলাকে কুপিয়ে এক দুষ্কৃতি যে পালাতে পারে, এই ঘটনায় হতবাক অনেকে। তাহলে সুরক্ষা কোথায়? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এদিকে অভিযুক্ত যুবকের নাগাল এখনও পায়নি পুলিশ। তার নাগাল পেতে অন্য মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে যুবকের চেহারা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তে নেমে পুলিশ এখন খুঁজে দেখছে শুধু মহিলা কামরায় ওঠার প্রতিবাদ করার জন্যই ওই যুবতীকে কোপানো হয়েছে। নাকি এর পিছনে অন্য কোনও পুরনো শত্রুতা কাজ করেছে। যদিও রক্তাক্ত মহিলা হাসপাতালে শুয়ে জানিয়েছেন তিনি ওই যুবককে এর আগে কখনও দেখেননি।