কলকাতা থেকে মুম্বইগামী জ্ঞানেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেস তখন ওড়িশার ঝারসুগুড়া জেলার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। ট্রেনটি যখন রাউরকেলা ও ঝারসুগুড়া স্টেশনের মাঝখানে অবস্থান করছে ঠিক তখনই ট্রেনে আচমকা হানা দেন ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, ভুবনেশ্বর-এর কয়েকজন আধিকারিক। গোপন খবরের ভিত্তিতেই যে হানা তা পরিস্কার।
সে সময় চলন্ত ট্রেনে সফররত ২ যাত্রীর কাছ থেকে ১২.৯৩২ কেজি সোনা উদ্ধার হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪.৯৯ কোটি টাকা। ওই ২ যাত্রীকে আটক করেন আধিকারিকরা। যে সোনা উদ্ধার হয়েছে তা সোনার বার আকারে ছিল। সব বারই বিদেশি। সোনা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ট্রেনের ওই কামরায় যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
২ ব্যক্তিকে আটক করে পরে স্টেশনে নামানো হয়। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ডিআরআই-এর আধিকারিকরা। এই সোনা কোথা থেকে এল। কারা এই সোনা পাঠিয়েছে। কোথায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এমন বিভিন্ন প্রশ্ন করে এই চক্রের সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। তাঁদের ধারণা এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্র সম্বন্ধে আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা