National

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ট্রেনের চাকায় শেষ ৩টি জীবন

সোমবার ভোর। একই পরিবারের ২ মহিলা ও ১ কিশোরী বাড়ি থেকে বার হন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে। জঙ্গলের দিকে পা বাড়ান তাঁরা। প্রতি ভোরে এভাবেই তাঁরা হাজির হন জঙ্গলে। লালগড় স্টেশন লাগোয়া জঙ্গলেই তাঁরা প্রাত্যহিক কাজ সেরে ফিরে আসেন বাড়িতে। সেইমত এদিনও ভোর ভোর বেরিয়েছিলেন। ট্রেন লাইনের ওপর দিয়েই যাচ্ছিলেন। আর ঠিক তখনই লাইনে ছুটে আসছিল গরিব রথ এক্সপ্রেস। লাইন থেকে আর সরার মত সময় পাননি তাঁরা। ৩ জনকেই পিষে দিয়ে যায় প্রবল গতির এক্সপ্রেস ট্রেন।

৩ জনের মধ্যে ২২ বছরের সরিতাদেবী আবার ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। অন্য ২ জন ৩২ বছরের রাধিকাদেবী ও তাঁর মেয়ে ১৩ বছরের রিচা। ঘটনার পর লাইনের ধারেই ৩টি দেহ পড়েছিল। এদিন সরিতাদেবীর গর্ভের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার আগেই শেষ হয়ে গেল ট্রেনের চাকায়। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে।


খোলা স্থানে মলত্যাগ রুখতে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আওতায় প্রচেষ্টা কম হচ্ছেনা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গ্রামের যেসব পরিবারে টয়লেট নেই, সেখানে টয়লেট বিনা খরচে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আর ঝাড়খণ্ড তো এমন এক রাজ্য যাকে ইতিমধ্যেই খোলাস্থানে মলত্যাগ মুক্ত রাজ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই রাজ্যেই এদিন ৩টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটল প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে খোলা স্থানে মলত্যাগ করতে যাওয়ার সময়। যদিও বিষয়টিকে ঢাকার চেষ্টা করেছেন মৃতদের গ্রামের সরপঞ্চ। তাঁর দাবি, এঁদের বাড়িতে টয়লেট বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এঁরা তা সত্ত্বেও নাকি খোলায় জায়গায় মলত্যাগ করতে যেতেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button