নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হয়েছে সবে। তার বিরুদ্ধে অসম, ত্রিপুরা ও উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে আগে থেকেই আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। অসমে অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। সে তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ শান্তই ছিল। কিন্তু শুক্রবার যা হল তাতে শান্ত বলা বোধহয় আর যাচ্ছেনা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবারই সকলকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে আন্দোলনের আহ্বান জানান। রাজ্যপালও আন্দোলন করার সময় শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। তা সত্ত্বেও মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ও হাওড়ার উলুবেড়িয়া এদিন অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
বেলডাঙা স্টেশনে এদিন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে তাণ্ডব শুরু হয়। আগুন জ্বালানো হয় ট্রেন লাইনের ওপর। ফলে স্তব্ধ হয়ে যায় ওই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল। তছনছ করা হয় গোটা স্টেশন। স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। আগুন, ভাঙচুরে কার্যত তছনছ হয়ে যায় স্টেশন চত্বর। রাস্তাও বাদ যায়নি। বেলডাঙায় রাস্তাও অবরোধ হয়। হাজার হাজার মানুষের অবরোধ তুলতে সমস্যা হয় পুলিশের। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরেও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
উলুবেড়িয়াতে এদিন দুপুর থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন হাজার হাজার মানুষ। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা উলুবেড়িয়া স্টেশন চত্বরে হামলা চালান। কেবিন রুম ভাঙচুর হয়। পাথরবৃষ্টি হয়। ট্রেন লাইনের ধারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ফলে থমকে যায় বহু ট্রেন। দূরপাল্লার ট্রেনও ছিল। ভোগান্তির শিকার হতে হয় ট্রেন যাত্রীদের। এছাড়াও রাজ্যের কয়েক জায়গায় এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে।