বর্ধমান স্টেশন রীতিমত ব্যস্ত স্টেশনের একটি। তারই সামনের অংশের ঝুল বারান্দায় চলছিল মেরামতির কাজ। সেখানে মেরামতির কাজ যেমন চলছিল, তেমনই চলছিল সাধারণ মানুষের যাতায়াত। শনিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ৮টা ১৯ মিনিট। যাত্রীদের আনাগোনায় যথেষ্ট ব্যস্ত তখন বর্ধমান স্টেশন। তারই সামনের অংশে যেখানে কাজ চলছিল সেই অংশ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। তার তলায় যাঁরা ছিলেন তাঁরা আর সরার সময় পাননি। চলে যান ধ্বংসস্তূপের তলায়।
এভাবে বর্ধমান স্টেশনের একাংশ ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। অনেকে ছুটে এসে ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করেন। বোঝার চেষ্টা করেন আরও কোনও অংশ ভেঙে পড়তে পারে কিনা। তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপ দ্রুত সরিয়ে তার তলায় আটকে পড়া মানুষজনকে বার করে আনার চেষ্টা চলতে থাকে। সাধারণ মানুষের মুখে রেলের সমালোচনা শোনা যায়।
২ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠানো হয়। যে অংশে মেরামতি চলছিল, সেখানটা সাধারণত ঘিরে রেখে কাজ চলার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে কাজ যেখানে চলছিল তারই তলা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করছিলেন কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় রেলেই দিকেই আঙুল উঠেছে। গোটা ঘটনার দায়ও রেলের ঘাড়েই চাপিয়েছেন সকলে। রেলের তরফে ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।