রেলের অনেক কামরা এমন হয় যা ওয়ার্কশপে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে তা ভেঙে ফেলা হয়। তেমনই ২টি কামরা পড়ে ছিল মাইসুরুর সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপের ধারে। কদিন পরে ভেঙেই ফেলা হত। কিন্তু এখন যা হল তাতে তা ভেঙে ফেলা নয়, বরং উন্নতির চেষ্টা চলবে। তবে যাত্রী পরিবহণের জন্য নয়। এ জোড়া কামরা আর লাইনের ওপর দিয়ে ছুটবে না। বরং ছুটিয়ে নিয়ে যাবে কচিকাঁচাদের শিক্ষাকে।
রেলের কামরায় রেস্তোরাঁ, প্রদর্শনী এসব আগেই দেখা গেছে। কিন্তু ২ কামরা নিয়ে একটি স্কুলের ক্লাস চলতে পারে তা কেউ ভেবেছিলেন! তাও আবার সরকারি স্কুলের! এমনটাই কিন্তু হয়েছে মাইসুরুর অশোকাপুরম রেলওয়ে কলোনির গভর্নমেন্ট প্রাইমারি স্কুলে। ১৯৩৬ সালে তৈরি স্কুলের ক্লাস যেখানে হত সেই বাড়ির অবস্থা শোচনীয়। তাই অন্য জায়গার তল্লাশি চলছিল। আর তখনই নজরে পড়ে রেলের এই ২ পরিত্যক্ত কামরা। রাতারাতি কামরার ভোল বদলে দেন ওয়ার্কশপের কর্মীরা। পরিস্কার করে, আলো, পাখার বন্দোবস্ত হয়। ব্ল্যাকবোর্ড, ক্লাস করার জন্য টেবিল, চেয়ার সবই ব্যবস্থা হয়।
একটি কামরা ব্যবহার হচ্ছে ক্লাস করানোর জন্য। অন্য কামরাটি ব্যবহার হচ্ছে স্কুল ক্যান্টিন হিসাবে। প্রয়োজনে সেখানে ক্লাসও হচ্ছে। শিক্ষকরাও বসছেন এসে। কামরার বাইরেটাও দেখে চেনা দায়। ঝলমলে রংয়ে সেজে উঠেছে ২টি কামরা। তাতে অক্ষর লেখা, সৌরমণ্ডলের ছবি আঁকা, আরও কত কি! কামরাগুলিকে পুরোপুরি সাজিয়ে তুলতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যা রেলের ওই ওয়ার্কশপের ফান্ড থেকেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এখন দিব্যি ক্লাস করছে রেল কলোনির পড়ুয়ারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা