কাঁধে ঝোলানোর একটা কালো ব্যাগ। হাতে একটি ট্রলি সুটকেস। এই নিয়ে আজিম আহমেদ নামে এক ব্যক্তি কামাখ্যা গান্ধীধাম এক্সপ্রেস-এ সফর করছিলেন। ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশনে থামে। সেখানে তখন অপেক্ষা করছিলেন ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স-এক আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই তাঁদের অপেক্ষা। ট্রেন থামতেই তাঁরা এসি ২ টায়ার কামরায় উঠে পড়েন। তারপর সময় নষ্ট না করেই ঘিরে ফেলেন আজিম আহমেদকে।
কোনওভাবেই ডিআরআই আধিকারিকদের আসা টের পায়নি আজিম। ফলে পালাতেও পারেনি। তার সঙ্গে থাকা কাঁধে ঝোলানো কালো ব্যাগ খোলেন আধিকারিকরা। আর তা খুলতেই তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ৭টি পূর্ণ বয়স্ক হাতির দাঁত। যার ওজন ১৩ কেজি। আজিমকে ওখানেই গ্রেফতার করা হয়। সে স্বীকার করেছে হাতির দাঁতগুলি সে অসমের কোকরাঝাড়ের ফকিরগ্রাম এলাকা থেকে সংগ্রহ করেছিল।
জেরায় আজিম স্বীকার করেছে যে সে এর আগেও ৩ বার এমনভাবেই হাতির দাঁত লুকিয়ে পাচার করেছিল। তখন ধরা পড়েননি। এবার আর রেহাই মেলেনি। আজিম জানিয়েছে, সে ওই দাঁত সংগ্রহ করে বারাণসী নিয়ে যাচ্ছিল। সেখান থেকে উত্তরপূর্ব এশিয়ার কোথাও সেই দাঁত পাচারের কথা ছিল। যে পরিমাণ হাতির দাঁত আজিমের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা