ব্যস্ততায় ইতি, অবসর নিল শতবর্ষ পার সেতু
১০০ বছর ধরে যে সেতু কখনও স্তব্ধ হয়নি, যা ১০০ বছর ধরে বইল লক্ষ লক্ষ ট্রেন চলাচলের ভার, তা অবশেষে সব ব্যস্ততা থামিয়ে অবসর নিল।
সেই ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল সেতুটি। তারপর থেকে ১০০ বছর পার করে প্রত্যেক দিন বহু ট্রেনের চলাচলের ভার বহন করে নিজের দায়িত্ব পালন করছিল ব্রিজটি। অবশেষে সফলভাবেই শেষ হল তার কর্মময় ব্যস্ততা। কার্যত অবসর নিল সেতুটি। সেখানে তার গা ঘেঁষেই রেল তৈরি করেছে একটি নতুন সেতু। এবার থেকে সেই সেতু ধরেই নিরন্তর ছুটবে ট্রেন। পাশে দাঁড়িয়ে তা দেখবে অবসর নেওয়া সেই পুরনো সেতুটি।
বিহারের কিউল নদীর ওপর তৈরি ব্রিজটি পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দিল রেল। গত রবিবার থেকে ব্রিজটি বন্ধ হয়ে যায়। সেই একই সঙ্গে পাশের নতুন ব্রিজে চালু হয়ে গেছে ট্রেন চলাচল। গত রবিবার শতবর্ষ পার করা ঐতিহাসিক কিউল-লখিসরাই পুরনো ব্রিজের ওপর দিয়ে রেলেরই কিছু কর্মীকে নিয়ে শেষ ট্রেনটি পাস করে। ওটাই ছিল ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে শেষ ট্রেন যাত্রা। পূর্ব-মধ্য রেলের তরফে একথা জানানো হয়েছে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে গত ১০০ বছর ধরে এই ব্রিজটি অগুন্তি ট্রেনের যাত্রাভার বহন করেছে। এখন থেকে এই পুরনো ব্রিজটি ভারতীয় রেলের স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়ের চিহ্ন হিসাবে থেকে যাবে। রেলের তরফে এও জানানো হয়েছে শতবর্ষের পুরনো ব্রিজটি ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। গত ৭ মাসে যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করেছে ঠিকই, তবে ব্রিজের ওপর দিয়ে গাড়ি পাস করেছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। মালগাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গত ৭ মাসে। সেতুর বয়স হয়েছিল। বুড়ো হয়েছিল। কমে এসেছিল শরীরের শক্তি। কিন্তু যে ইতিহাস, যে স্মৃতি সে বয়ে চলেছে তাকে তো সম্মান জানাতেই হয়। সেলাম করতেই হয় তার শতবর্ষের অবদানকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা