অযোধ্যায় স্টেশনে নামলেই দেখা হয়ে যাবে রাম মন্দির
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হয়ে গেলে সেখানে বহু মানুষের ভিড় জমবে। অযোধ্যায় রেল স্টেশনে নামলেই কিন্তু রাম মন্দিরের ঝলক নজর কাড়বে।
অযোধ্যা : অযোধ্যায় ৫ অগাস্ট ভূমি পুজোর পরই শুরু হয়ে যাবে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। যা ৩ থেকে সাড়ে ৩ বছর সময় লাগবে শেষ হতে। রাম মন্দির সর্বসাধারণের জন্য খুলে গেলে সেখানে বহু মানুষের ভিড় জমবে। দেশ বিদেশ থেকে মানুষ হাজির হবেন সেখানে। যাঁরা ট্রেনে অযোধ্যায় পৌছবেন তাঁদের জন্য রাম মন্দির দেখার আগেই থাকছে রাম মন্দির দেখার সুযোগ। স্টেশনেই দেখা হয়ে যাবে রাম মন্দির। কারণ রাম মন্দিরের আদলেই নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে অযোধ্যা রেল স্টেশন। ফলে স্টেশনে নামার পরই সকলের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে রাম মন্দির কেমন দেখতে। তারপর শহরে প্রবেশ করে পর্যটকরা পৌঁছবেন মূল রাম মন্দিরে।
২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে অযোধ্যার রেল স্টেশনকে অন্য রূপে সাজিয়ে রাম মন্দিরের আদল দেওয়ার প্রথম পর্বের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। যা আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্নও হবে। আপাতত এই লক্ষ্য স্থির করেই কাজ হবে। প্রথম পর্বের কাজ শেষ হলেও পুরো স্টেশনের রাম মন্দিরের আদলে সেজে উঠতে সময় লাগবে ২০২৩-২৪ সাল। ঠিক সেই সময় যখন মূল রাম মন্দিরও শেষ হওয়ার কথা। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে প্রায় সমসাময়িক সময়েই মূল রাম মন্দির ও অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে স্টেশন তৈরি হবে।
অযোধ্যা স্টেশনকে রাম মন্দিরের আদলে তৈরি করতে রেল প্রথমে ৮০ কোটি টাকা ধার্য করেছিল। এবার তা আরও বাড়ানো হল। বাজেট বাড়িয়ে অযোধ্যা স্টেশনকে আধুনিক সব পরিষেবায় সাজিয়ে রাম মন্দিরের আদল দিতে ১০৪.৭৭ কোটি টাকা ধার্য করেছে রেল। কাজের প্রথম পর্বে স্টেশনের ১ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মকে সাজিয়ে তোলা হবে।
দ্বিতীয় পর্বেই মূলত তৈরি হবে রাম মন্দিরের আদলে স্টেশন। অযোধ্যা স্টেশনকেও যাত্রীদের সুবিধার্থে একদম ঢেলে সাজানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। থাকছে পুরুষ ও মহিলাদের ডরমিটরি, অনেকগুলি আধুনিক শৌচাগার, ফুড প্লাজা, দোকান, অডিটোরিয়াম, ফুট ওভারব্রিজ সহ নানা সুবিধা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা