ট্রেনে উঠতে চেয়ে যাত্রী বিক্ষোভে হাওড়া স্টেশনে ধুন্ধুমার
রেলের কর্মীদের জন্য চালু হওয়া বিশেষ ট্রেনে উঠতে চেয়ে শনিবার হাওড়ায় আছড়ে পড়ে যাত্রী বিক্ষোভ। তাঁদের পথ আটকায় রেল পুলিশ। শুরু হয় ধুন্ধুমার।
কলকাতা : হাওড়া স্টেশনে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল শনিবার সন্ধেয়। কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে এদিন হাওড়া স্টেশনে হাজির হন হাজারের ওপর মানুষ। লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে করোনার কারণে। রেল কর্মীদের যাতায়াতের জন্য রেল বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে মাত্র।
সেই স্পেশাল ট্রেনে তাঁদেরও উঠতে দিতে হবে। এই দাবিতে গত শুক্রবারও হাওড়ায় যাত্রীদের সঙ্গে একপ্রস্ত বচসা হয় রেল পুলিশের। শনিবার আরও বেশি সংখ্যক যাত্রী সেখানে হাজির হয়ে স্পেশাল ট্রেনে ওঠার দাবি জানাতে থাকেন।
যাত্রীদের এই দাবি মেনে নেয়নি রেল। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্টেশনের সব গেট। বাইরে তখন বিক্ষোভের পারদ চড়ছে। যাত্রীরা জোর করে স্টেশনে ঢোকার চেষ্টা করলে রেল পুলিশের সঙ্গে তাঁদের প্রথমে বচসা, তারপর ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে রেল পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। যদিও রেলের তরফে লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
হাজারের ওপর মহিলা ও পুরুষ এদিন হাওড়া স্টেশনে হাজির হন সন্ধেয়। তাঁরা কাজের তাগিদে দূর দূর থেকে অনেক কষ্ট করে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।
ট্রেন চালু থাকলে তাঁদের ফেরার কোনও সমস্যা ছিলনা। তবে করোনার কারণে লোকাল ট্রেন বন্ধ। ফলে নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁদের প্রাত্যহিক যাতায়াতে।
ফলে রেল কর্মীদের স্পেশাল ট্রেনে ওঠার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কায় লোকাল ট্রেনও চালু করা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে।
যাত্রীদের আরও অভিযোগ, মেট্রোও চালু হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে নতুন নিয়ম করে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতেই চালু হোক লোকাল। রাজ্যসরকারের তরফেও আগে রেলকে জানানো হয়েছিল তারা যদি নিয়ন্ত্রণবিধি মেনে লোকাল চালু করতে চায় তাহলে তারা রাজ্যসরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।
তবে লোকাল এখনও চালু হয়নি। ফলে রুজির টানে কাজ করতে আসা মানুষজন বেজায় সমস্যায় পড়ছেন। তারই এক বহিঃপ্রকাশ হল হাওড়ায় এদিন। যাত্রীদের ধৈর্যের বাঁধ যে ভাঙছে তা এদিনের বিক্ষোভ থেকে স্পষ্ট। এদিন হাওড়ায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়। পরে পুলিশও হাজির হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।