সাড়ে ৭ মাস পর গড়াল লোকালের চাকা
হাওড়া, শিয়ালদহের চেনা ভিড়টা উধাও হয়ে গিয়েছিল গত সাড়ে ৭ মাসে। করোনার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল লোকাল ট্রেন। সেই চাকা ফের ঘুরল বুধবার সকালে।
কলকাতা : ঘোষণা হয়েছিল গত সপ্তাহেই। বুধবার থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। শহরতলি ও মফঃস্বলের মানুষের চাহিদা ছিল অনেকদিন ধরেই। বিভিন্ন জায়গায় লোকাল চালুর দাবিতে সোচ্চার হচ্ছিলেন মানুষজন। অবশেষে রেল ও রাজ্যসরকার একসঙ্গে বসে ফের লোকাল চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এখনই সব ট্রেন চালু হচ্ছেনা। আস্তে আস্তে বাড়বে লোকাল। তবে বুধবার সকালে ফের তাঁদের পরিচিত লোকালের পাদানিতে পা রেখে আপ্লুত নিত্যযাত্রীরা।
লোকাল চালুর কথা ঘোষণা হওয়ার পরই রেলের তরফে বিভিন্ন স্টেশনে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছিল। স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীদের দাঁড়ানোর জন্য গোল গোল দাগ করা হয়েছিল। পরিচ্ছন্নতার দিকে জোর দেওয়া হয়েছিল। সাফ হয়েছিল ট্রেনের কামরাও।
এতদিন ট্রেন বন্ধ থাকা ভারতীয় রেলের ইতিহাসে নেই। নেই এ রাজ্যের লোকাল ট্রেনেও ক্ষেত্রেও। সেই লোকাল ট্রেন ফের চালু হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ।
লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় কলকাতার ওপর চাপ যে বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্টেশন থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য সকলে বাসের অপেক্ষা করেন। ফলে বাস সহ অন্য যানবাহনের ওপরও চাপ বাড়বে। চাহিদা বাড়বে।
এই অবস্থায় মঙ্গলবারই কলকাতার বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির সঙ্গে বসে রাজ্যসরকার। জানিয়ে দেয় বাস পর্যাপ্ত পরিমাণে বুধবার থেকে তারা চালাতে পারবে কিনা। বা পারলেও কতটা পারবে।
গত ২৩ মার্চ থেকে রাজ্যে বন্ধ হয় লোকাল ট্রেন। ২৪ মার্চ বিকেলে রাজ্যসরকার লকডাউন চালু করে। ২৫ মার্চ রাত ১২টা থেকেই দেশজুড়ে লকডাউন চালু হয়ে যায়। তারপর থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য লোকাল ট্রেনের চাকা আর ঘোরেনি বাংলায়।
অবশেষে সাড়ে ৭ মাস পর এ রাজ্যে চালু হল লোকাল ট্রেন। তবে সংখ্যায় সীমিত। আপাতত হাওড়া শাখায় ১০৪টি ট্রেন চলছে বুধবার থেকে। এই দিন থেকে শিয়ালদহ শাখায় চলছে ২২৮টি ট্রেন। দক্ষিণ পূর্ব রেলে অবশ্য অত ট্রেন এখনই চালু হচ্ছে না। হাওড়া-খড়গপুর শাখায় ১৭ জোড়া ট্রেন চলছে।
আপাতত এইটুকু চালু হলেও আগামী দিনে ট্রেন বাড়ানো হবে বলেই জানানো হয়েছে। ক্রমে ধাপে ধাপে বাড়বে ট্রেনের সংখ্যা।