যাত্রী নিয়ে ট্রেন ছুটল পিছন দিকে
যাচ্ছিল গন্তব্যের দিকেই। যাত্রীরাও তৈরি হচ্ছিলেন। গন্তব্য আর বেশি দূর নয়। তখনই তাঁরা লক্ষ্য করলেন ট্রেনটি সামনের দিকে যাওয়ার জায়গায় পিছনে ছুটতে শুরু করেছে।
দেরাদুন : গন্তব্যের কাছেই প্রায় এসে গিয়েছিল ট্রেনটি। এমন সময় ঘটল বিপত্তি। ট্রেন ছুটতে শুরু করল উল্টোদিকে। ট্রেনে বসা যাত্রীরা তো অবাক। এমন আবার কখনও হয় নাকি!
ট্রেন তো আর নিজের মর্জি মত চলে না যে তার মনে হল উল্টোদিকে যাব, তাই পিছু হঠতে শুরু করল। ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ তো ট্রেন চালকের হাতে। তবে কি তাঁরই মতিভ্রম হল যে কয়েক কিলোমিটার উল্টোদিকে গড়াল ট্রেনের চাকা।
না, ট্রেন চালকের ভুল নয়। দিল্লি থেকে টনকপুরগামী পূর্ণগিরি জনশতাব্দী এক্সপ্রেস যাচ্ছিল উত্তরাখণ্ডের ওপর দিয়ে। খাতিমা পেরিয়ে কিছু কিলোমিটার যাওয়ার পরই ট্রেন চালক জানতে পারেন খাতিমা ও টনকপুরের মাঝে রেললাইনে কাটা পড়েছে গবাদি পশু। ফলে লাইন পরিস্কার করার আগে পর্যন্ত সামনে এগোনো যাবেনা।
যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ট্রেনটিকে উল্টো অভিমুখে চালানোর সিদ্ধান্ত নেন চালক। কয়েক কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়ে খাতিমার রেল ইয়ার্ডে এসে দাঁড়ায় ট্রেনটি।
ঘটনায় কোনও যাত্রী আহত হননি। কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় যথেষ্টই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরে তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছে যান।
ঘটনাটি উল্লেখ করে ট্যুইটারে উত্তর-পূর্ব রেল শাখার তরফে জানানো হয় কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে এই ঘটনার জন্য লোকো পাইলট ও গার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডে এক সপ্তাহের মধ্যে রেল দুর্ঘটনার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এর কয়েকদিন আগেই দিল্লি-দেরাদুন শতাব্দী এক্সপ্রেসে আগুন লেগে যায়। সেই ঘটনাটিতেও কোনও যাত্রী আহত হননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা