দেশের সবচেয়ে লম্বা সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে রেল, থাকছে পালানোর পথও
দেশের সবচেয়ে লম্বা সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছে। তাও আবার ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে। শুধু সুড়ঙ্গ খোঁড়াই নয়, সুড়ঙ্গের পাশে সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছে প্রয়োজনে পালানোর পথ রেখে।
ভারতের সবচেয়ে লম্বা রেল চলাচলের টানেল তৈরি করা হয়েছিল জম্মু কাশ্মীরের বানিহাল থেকে কাজিগুন্দ পর্যন্ত। যাকে সকলে চেনেন পীরপাঞ্জাল টানেল নামে। এই ১১.২ কিলোমিটারের টানেল ধরে রেল যাত্রাও চলছে। এবার এর কাছেই আরও একটি টানেল তৈরি করতে চলেছে ভারতীয় রেল।
এই সুড়ঙ্গ পীরপাঞ্জাল সুড়ঙ্গের চেয়েও লম্বা হতে চলেছে। যা আবার ৪০০ মিটার উপরেও উঠবে। কাটরা বানিহাল সেকশনে সুম্বের ও আরপিঞ্চালার মধ্যে তৈরি হচ্ছে এই সুড়ঙ্গ।
অস্ট্রিয়ান ড্রিল অ্যান্ড ব্লাস্ট পদ্ধতিতে এই টানেল তৈরি হচ্ছে। এর দক্ষিণভাগ ছবির মত সুন্দর সুম্বের গ্রাম থেকে শুরু হচ্ছে। যা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
সেখান থেকে উত্তরভাগে আরপিঞ্চালা গ্রামে পৌঁছবে। যা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই পুরো পথ লম্বায় হবে ১২.৭৫৮ কিলোমিটার।
এটাই হতে চলেছে ভারতের সবচেয়ে লম্বা সুড়ঙ্গপথ। যা দিয়ে ট্রেন ছুটবে। ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে সুড়ঙ্গের মধ্যে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
এখানে মূলত ২টি সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছে। একটি প্রধান সুড়ঙ্গ। যেখান দিয়ে ট্রেন ছুটবে। তার ঠিক গা ধরে থাকবে আরও একটি সুড়ঙ্গ। যাকে বলা হচ্ছে পালানোর সুড়ঙ্গ।
এখানে পালানো বলতে যদি প্রধান সুড়ঙ্গে ট্রেন চলাচল কোনও কারণে সমস্যায় পড়ে বা থমকে যায় তাহলে পালানোর সুড়ঙ্গ দিয়ে ট্রেনটিকে বার করে আনা যাবে।
প্রতি ৩৭৫ মিটার অন্তর পালানোর সুড়ঙ্গে যাওয়ার পথ খোলা থাকবে। এই সুড়ঙ্গ খনন শুরু হয়েছে। ২ প্রান্ত থেকেই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা