পছন্দের কচুরি কিনতে সিগনাল ছাড়াই ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন চালক
এ কচুরি তাঁর বড় প্রিয়। তাই মাঝরাস্তায় ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। আসে কচুরি। সেই প্যাকেট হাতে নিয়ে তবেই ফের চাকা ঘোরে ট্রেনের।
পরিবারের আবদারে হোক বা নিজের পছন্দের কারণে অনেকেই কাজ ফেরতা কোনও দোকান থেকে খাবার কিনে নিয়ে যান। কেউ কিনে বাসে ওঠেন। কেউ গাড়ি দাঁড় করিয়ে কিনে নেন। কিন্তু ট্রেন দাঁড় করিয়ে কেনাকাটার কথা কেউ শুনেছেন কি! এটাও কি সম্ভব!
এটাই কিন্তু সম্ভব হচ্ছিল প্রতিদিন। ঠিক সময়ে একটি লেভেল ক্রসিংয়ে রেলিং নেমে আসছিল ট্রেন পাস করবে বলে। মানুষ ক্রসিংয়ের ২ প্রান্তে অপেক্ষায় থাকতেন কখন ট্রেন যাবে। কখন খুলে যাবে লেভেল ক্রসিং।
ট্রেন সঠিক সময়েই এসে থামত। একজন রেলের কর্মী সে সময় হাতে একটি প্যাকেট নিয়ে অপেক্ষা করতেন। ট্রেন ঠিক লেভেল ক্রসিংয়ের মুখে এসে থেমে গেলে তিনি দুলকি চালে গিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে দিতেন প্যাকেট ভর্তি খাস্তা কচুরি।
বিনিময়ে দামটা তাঁকে দিয়ে দিতেন কেবিনে থাকা এক ব্যক্তি। প্যাকেট হাতে চলে এলে ফের ট্রেনের চাকা ঘুরতে শুরু করত। নিছক পছন্দের কচুরি কেনার জন্য প্রতিদিন সকাল ৮টার সময় এ দৃশ্য একাধারে গা সওয়া এবং বিরক্তিকর হয়ে উঠেছিল স্থানীয় মানুষের।
ট্রেন সিগনাল মেনে দাঁড়ায় বা চলে। কারণ তার যাওয়ার ওপর নির্ভর করে তার পিছনে থাকা ট্রেনগুলির ওই লাইন দিয়ে যাওয়া। একটি ট্রেন সিগনাল ছাড়াই একটি লাইন এভাবে দখল করে রাখতে পারে কি? কোনও ট্রেন চালক এমনটা করতে পারেন কি?
পারেননা। বিষয়টি কিন্তু রেলের আধিকারিকরা জানতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ। তারপরই তাঁর নড়েচড়ে বসেন। ট্রেন দাঁড় করিয়ে কচুরি কেনার অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। ৩ জন কর্মী সাসপেন্ডও হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটত রাজস্থানের আলোয়ারের একটি লেভেল ক্রসিংয়ে।