ট্রেনের ইঞ্জিনের তলায় লুকিয়ে ১৯০ কিলোমিটার পথ পার
ট্রেনের ইঞ্জিনের তলায় প্রবল উত্তাপ তৈরি হয়। সেখানে কারও বেশিক্ষণ থাকা কার্যত অসম্ভব। কিন্তু সেখানেই লুকিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করল এক যুবক।
একে এই প্রবল গরম। তারওপর ট্রেনের ইঞ্জিনের তলা মানে সেখানে তো চলন্ত ইঞ্জিনের তৈরি প্রবল উত্তাপ রয়েছে। সেখানে যে কেউ বসে থাকতে পারে তা কার্যত মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে রেলের আধিকারিকদের।
কিন্তু ওই যুবককে ট্রেনের ইঞ্জিনের তলা থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। গরমে তার শরীর কার্যত শুকিয়ে গিয়েছিল। তাকে যখন আরপিএফ বার করে আনে তখন প্রথমেই সে জল চায়। ওই প্রবল উত্তাপ যে সে কীভাবে সহ্য করেছে তাও বুঝতে পারছেন না কেউ।
সারনাথ বুদ্ধপূর্ণিমা এক্সপ্রেসের চালক এক যুবকের গলার শব্দ শুনতে পান ইঞ্জিনের তলা থেকে। গয়া স্টেশনে তখন ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে।
চালক টর্চ নিয়ে ইঞ্জিনের তলার দিকটা পরীক্ষা করতে গিয়ে চমকে ওঠেন। সেখানে ট্র্যাকশন মোটরের কাছে এক যুবককে বসে থাকতে দেখেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে রেল পুলিশে খবর দেন চালক।
রেল পুলিশ এসে ওই যুবককে ইঞ্জিনের তলা থেকে বার করে আনে। বেরিয়ে এসেই সে জল চায়। তারপর তাকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদের আগেই সে হাত ছাড়িয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয়। ফলে তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
রেল আধিকারিকরা মনে করছেন রাজগির স্টেশন থেকে এই ট্রেন যাত্রা শুরু করে। সেখানেই বিহারের ওই যুবক ইঞ্জিনের তলায় লুকিয়ে ঢুকে পড়ে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও সন্দেহ করছেন রেল আধিকারিকরা।
এভাবে ইঞ্জিনের প্রবল গরম সহ্য করে কেউ ইঞ্জিনের তলায় লুকিয়ে এতটা পথ আসতে পারে এটাই তাঁরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। তবে ওই যুবক রাজগির থেকেই ইঞ্জিনের তলায় লুকিয়েছিল কিনা তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তাঁরা।