দুর্গাপুজোর মধ্যেই ভূস্বর্গ পেতে চলেছে নতুন উপহার
দুর্গাপুজো তখন মধ্যগগনে থাকবে। ঠিক সেই সময় ভূস্বর্গ মেতে উঠতে চলেছে অন্য আনন্দে। রেলের তরফ থেকে এক অনন্য উপহার পেতে চলেছেন বাসিন্দারা।
এবার দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে অক্টোবরের শুরুতেই। ২ অক্টোবর যখন মহাসপ্তমীর আনন্দে মশগুল থাকবে বাঙালি তখন সারা দেশ পালন করবে গান্ধী জয়ন্তী। যা বাংলাতেও সমান মর্যাদায় পালিত হবে।
তবে এবার গান্ধী জয়ন্তী কাশ্মীরবাসীর জন্য একটু বেশিই আনন্দ বয়ে আনতে চলেছে। কারণ ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এক অনন্য উপহার পেতে চলেছেন তাঁরা। বানিহাল থেকে বারামুলা করিডর ধরে ছুটতে চলেছে এমন এক ট্রেন যা কাশ্মীরে এই প্রথম।
বানিহাল থেকে বারামুলার দূরত্ব ১৩৭ কিলোমিটার। এই পথ অতিক্রম করতে যে নতুন ট্রেন গান্ধী জয়ন্তীর দিন কাশ্মীরবাসী উপহার পেতে চলেছেন তা সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক। এই প্রথম কাশ্মীরে চালু হচ্ছে বৈদ্যুতিক ট্রেন। ইলেকট্রিক ট্রেনের এই চাহিদা পূরণ কার্যত কাশ্মীরবাসীর কাছে স্বপ্ন পূরণ।
কিছুদিন আগেই কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল ব্রিজ উপহার পেয়েছে রেলের কাছে। এবার এই নয়া উপহার তাদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে চলেছে।
ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়ে গেলে এই অপরূপ সুন্দর প্রকৃতির বুকে দূষণ আরও কমবে। ইলেকট্রিকে চলায় ট্রেন চলাচলের ফলে বাতাসে দূষণ কম ছড়াবে। তাতে কাশ্মীরের আবহাওয়া বাঁচবে। মানুষ উপকৃত হবেন।
তাছাড়া এই নয়া পথচলায় ভারতীয় রেলের খরচও অনেকটা কমবে। মনে করা হচ্ছে প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যাবে এই রুটে ট্রেন চলাচলের খরচ। এই নতুন ইলেকট্রিক ট্রেন লিঙ্ক তৈরি করতে ভারতীয় রেলের খরচ পড়েছে ৩২৪ কোটি টাকা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা