গড়াবে না চাকা, স্টেশনে চিরদিনের মত দাঁড়িয়ে গেল রেলের কামরা
রেলের কামরা যাত্রীদের নিয়ে ছুটে চলে গন্তব্যে। এটাই চিরাচরিত দৃশ্য। কিন্তু এবার একটি স্টেশনে চিরদিনের মত দাঁড়িয়ে গেল একটি কামরা।
ব্যস্ত স্টেশনে একটি রেলের কামরা চিরদিনের মত এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গেল। সেখান থেকে আর কখনও নড়বে না। মানুষ উঠবেন, নামবেন কামরা থেকে। কিন্তু কামরা তার জায়গায় স্থবির হয়েই দিনের পর দিন কাটিয়ে দেবে।
কামরাটির দেখভালে অবশ্য খামতি নেই। সুন্দর করে সাজানো কামরা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এই রেলের কামরাটি এক জায়গায় স্তব্ধ করার পিছনে রয়েছে খোদ রেল কর্তৃপক্ষের হাত। তারাই উদ্যোগ নিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
এমন ভাবার কারণ নেই যে কামরা কেমন হয় তা দেখানোর জন্য এটিকে রাখা হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে আরও বড় উদ্দেশ্য। এক ঢিলে ২ পাখি মারার ভাবনা।
এখানে একটি পুরনো রেলের কামরাকে সাজিয়ে গুছিয়ে ঠিক করে নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তার গায়ে হলুদ রংয়ের ওপর আঁকা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দ্রষ্টব্য সব স্থানের ছবি। কামরার মধ্যেটাও সুন্দর করে সাজানো।
প্রতিটি জানালার পাশে টেবিল পাতা। ২ ধারে হলুদ রংয়ের বসার জায়গা। কামরায় ঢুকলেই মন ভাল হয়ে যায়। যা ছিল রেলের কামরা, এখন সেটাই হয়ে গেছে রেস্তোরাঁ। রেলের নিজস্ব রেস্তোরাঁ।
সেখানে যেমন বিরিয়ানি, চাউমিন, ফ্রায়েড রাইসও মিলবে, তেমনই মিলবে মোমো, ধোসা। এমনকি গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে রেলের কামরায় বসে বাইরেটা দেখার মজাও উপভোগ করতে পারবেন আগত মানুষজন।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে আসা যাত্রীরা তো বটেই, এমনকি বাইরের কেউ এসেও এই রেস্তোরাঁয় খেয়ে যেতে পারেন। কামরার বাইরেটাও প্ল্যাটফর্মের মত সুসজ্জিত করা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ মনে করছে এই রেস্তোরাঁর হাত ধরে রেল বেশ কিছুটা আয় বাড়াতে পারবে। রেলমন্ত্রক ট্যুইট করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের এই রেস্তোরাঁর খবর জানিয়ে অনেকগুলি ছবি পোস্ট করেছে।