অফিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, ৪৫ মিনিট ট্রেন আটকে দিলেন একা যুবক
ট্রেন অবরোধ হলে অনেকে মিলে তা করে থাকেন। কিন্তু একা এক যুবক এবার স্তব্ধ করে দিলেন রেলের চাকা। তাও টানা ৪৫ মিনিটের জন্য।
ট্রেন অবরোধের কথা অনেকেই শুনেছেন, দেখেছেন। সে অবরোধ করে কোনও রাজনৈতিক দল বা কোনও সংগঠন। তাদের কর্মী, সমর্থকেরা রেলের লাইনের ওপর বসে পড়ে রেল অবরোধ করেন। এটা চেনা ছবি।
যেটা অচেনা সেটা হল একা এক যুবকের ৪৫ মিনিট রেলের চাকা স্তব্ধ করে দেওয়া। একাই একটি রেল অবরোধ করে দিলেন তিনি। যাঁকে ৪৫ মিনিটের আগে লাইন থেকে সরানো গেলনা।
ঘটনার সূত্রপাত ২ মাস আগে। তেনুঘাট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে কাজ করা একটি সংস্থায় কাজ করতেন রঞ্জিত কুমার নামে এক যুবক। ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার লালপানিয়া এলাকার ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত সংস্থার কর্মী রঞ্জিত কুমারকে তাঁর সংস্থা অপসারিত করে। যা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ জন্মায় রঞ্জিতের মনে।
রঞ্জিত গত ১৩ ডিসেম্বর সংস্থাকে সাফ জানিয়ে দেন হয় তাঁকে কাজে ফেরাতে হবে, নয়তো তিনি আমরণ অনশন শুরু করবেন। যদিও এই হুমকিতে কাজ হয়নি। সংস্থা তাঁকে ফেরায়নি। এরপর অনশনের রাস্তায় না হেঁটে রঞ্জিত কুমার এমন এক কাণ্ড ঘটালেন যা গোটা দেশের কাছে খবর হয়ে গেল।
বোকারো নদীর ওপর যে রেলব্রিজ রয়েছে সেখানে রেললাইনের ওপর একটি লাল পতাকা লাগিয়ে দেন রঞ্জিত কুমার। জানিয়ে দেন যতক্ষণ না তাঁকে কাজে ফেরত নেওয়া হবে, তিনি সেখান থেকে নড়বেন না।
ওই লাইন ধরে আসা একটি কয়লা বোঝাই মালগাড়ি রঞ্জিত কুমারের একক রেল রোকোতে থেমে যায়। অনেক বুঝিয়েও তাঁকে লাইন থেকে সরানো সম্ভব হয়নি।
খবর পেয়ে রেল পুলিশ থেকে আরম্ভ করে স্থানীয় পুলিশ সকলেই হাজির হয়। রঞ্জিত কুমারের অফিসের সঙ্গেও কথা বলে তারা।
এমন করে ৪৫ মিনিট কেটে যায়। তারপর রেললাইন থেকে রঞ্জিত কুমারকে সরাতে পারেন পুলিশ কর্মীরা। রেল চলাচল ফেল স্বাভাবিক হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা