দেশের সবচেয়ে আস্তে চলা ট্রেনের গতি কত, কোথায় চলে এই ট্রেন
দেশে এখন বুলেট ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। সেখানেই এই বিশাল রেল পরিবহণে সবচেয়ে আস্তে চলা গাড়িও রয়েছে। যা যাত্রী নিয়ে চলেছে অতি ধীর গতিতে।
দেশে এখন ট্রেনের গতি বাড়ানোর ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বুলেট ট্রেন আনার উদ্যোগ শুরু হয়ে গেছে। সেখানে এই দেশেই এমন একটি ট্রেন যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে যা দেশের সবচেয়ে আস্তে চলা রেলগাড়ি।
ট্রেনটির গতি শুনলে অনেকেই আঁতকে উঠতে পারেন। গতি ৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ট্রেনটির রুট ৪৬ কিলোমিটারের। যেখানে পৌঁছতে তার সময় লাগে ৫ ঘণ্টা। এ ট্রেন কিন্তু দিব্যি যাত্রীদের নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আর তাতে চড়া নিয়ে কারও কোনও অভিযোগও নেই।
অনেকের মনে হতে পারে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন। কিন্তু তা সঠিক নয়। ভারতের সবচেয়ে আস্তে চলা ট্রেনটি চলে তামিলনাড়ুর মেত্তুপালায়াম থেকে উটি পর্যন্ত। আবার ফেরে উটি থেকে মেত্তুপালায়ামে।
এই পুরো যাত্রাপথই হল পাহাড়ি। পাহাড়ের দুর্গম পথ ধরে এই নীলগিরি প্যাসেঞ্জার নামে ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে এগিয়ে চলে গন্তব্যের দিকে।
ফলে এখানে গতি বাড়ানো মানেই বিপদ। পাহাড়ে চড়ে এই ট্রেনটি। আবার পাহাড় থেকে নেমে আসে। ২ ধারে খাদ রয়েছে। ফলে এই ট্রেনের গতি বাড়ানো ঝুঁকির।
নীলগিরি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কামরাগুলি কাঠের তৈরি। এটি সকালে উটি যায়। আবার ওই ট্রেনই ফেরার সময় উটি থেকে যাত্রী নিয়ে বিকেলে মেত্তুপালায়াম পৌঁছয়।
হিসাব বলছে ভারতের দ্রুতগামী ট্রেনের চেয়ে ১৬ গুন কম গতিতে ছোটে এই নীলগিরি প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। যা কেবল একটি ট্রেন নয়, ইতিহাসও বটে।