দেশকে নতুন আলোর পথ দেখাল রেলস্টেশনের একটা চায়ের দোকান
এও যেন এক নতুন আলোর পথ। হতে পারে তা একটি রেলস্টেশনের সাধারণ চায়ের দোকান। কিন্তু তা গোটা দেশের নজর কেড়ে নিতে পারল।
একটা সাধারণ চায়ের দোকান। রেলস্টেশনে গেলে এমন চায়ের দোকান ২ পা অন্তর চোখে পড়ে। কে আর সেসব চায়ের দোকানের খবর রাখেন। চা যে দোকানে খান সেটাও পরদিন চিনতে পারেননা।
এতটাই মামুলি চায়ের দোকান কিন্তু গোটা দেশের নজর কেড়ে নিতে পারল। এমন ভাবার কারণ নেই যে এক অভাবনীয় কিছু করে দেখিয়েছেন চায়ের দোকানের মালিক। অথবা এমন কোনও সামাজিক কাজ করেছেন যা ভোলার নয়।
এমন কিছুই নয়। বরং নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের তরফে এই চায়ের দোকানটি খুলে দিয়ে এক নতুন দিশা দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। চায়ের দোকানটি বৃহন্নলাদের দ্বারা পরিচালিত হবে।
এখানেই সেই বিপ্লব। যা এই নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে করে দেখাল। নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অংশুল গুপ্ত স্টলটির উদ্বোধন করেন।
ভারতীয় রেলের তরফে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। বৃহন্নলাদের সমাজের মূল স্রোতে আরও বেশি করে শামিল করার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলেই।
অসমের গুয়াহাটি স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের এই চায়ের দোকানের নাম ট্রান্স টি স্টল। গোলাপি রংয়ে সাজানো এই চায়ের দোকান স্টেশনের আর পাঁচটা দোকানের মতই। তবে এই দোকানটির গুরুত্ব ও মাত্রা অন্যগুলির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে চলবে না।
এখন নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে আরও স্টেশনেও এমন স্টল ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে। বৃহন্নলাদের সমাজে ক্ষমতায়নের এই উদ্যোগ অবশ্যই এক বড় পদক্ষেপ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা