হাতিরা রেললাইনে হাঁটাচলা করলেও আর কাটা পড়বে না, রেলের অভিনব বন্দোবস্ত
হাতিদের বেঘোরে মৃত্যুর এক বড় কারণ ট্রেনে ধাক্কা। কিন্তু এবার হাতিরা রেললাইনের ওপর ঘুরে বেড়ালেও আর ট্রেনে কাটা পড়বে না। অভিনব উদ্যোগ নিল রেল।
জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে রেললাইন থাকলে অনেক সময়ই দেখা যায় বন্যপ্রাণিদের ক্ষতি হয়। কারণ তারা অনেক সময় লাইনের ওপর চলে আসে। আর সেই সময় দ্রুত গতির ট্রেন ওই লাইন দিয়ে ছুটে যাওয়ার সময় তাদের ধাক্কা মেরে চলে যায়।
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় হাতি থেকে শুরু করে অন্য অনেক বন্যপ্রাণের। বিশেষত হাতিদের মৃত্যুর ঘটনা তো আকছার শোনা যায়। এই পরিস্থিতির বদল করতে ভাবনাচিন্তা চলছিল। অবশেষে তার এক অভিনব সুরাহা খুঁজে বার করল নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে।
এটা সত্যি যে বন্যপ্রাণিদের রেললাইনের ওপর চলে আসা আটকানো সম্ভব নয়। জঙ্গল তাদের বিচরণ ক্ষেত্র। সেখান দিয়ে রেললাইন থাকলে তার ওপরও তারা যে কোনও সময় চলে আসতে পারে। হেঁটেও বেড়াতে পারে।
সেক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে রেলকেই। কিন্তু কীভাবে? কারণ কখন কোন জন্তু রেললাইনেরও পর আচমকা চলে আসবে তা তো দেখা মুশকিল। তাও জঙ্গলের মধ্যে। আর রাত হলে তো কথাই নেই।
তাই নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের তরফে এবার পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের চালসা হাসিমারা সেকশন ও অসমের লামডিং ডিভিশনের লঙ্কা হাওয়াইপুর সেকশন, এই ২ সেকশনের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে রেল রুটে অপটিক্যাল ফাইবারকে কাজে লাগিয়ে বসছে কৃত্রিম মেধাসম্পন্ন যন্ত্র।
এই এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কাজে লাগিয়ে জানা যাবে কোথায় রেললাইনের ওপর বন্যপ্রাণি এসে পড়ল। কোনও প্রাণি ওই লাইনের ওপর চলে এলেই যন্ত্র আগে থেকে সজাগ করবে।
ঠিক কোথায় লাইনের ওপর বন্যপ্রাণি এসে পড়েছে সেই স্থানের জানান দিয়ে যন্ত্রই কন্ট্রোল অফিস, বিভিন্ন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার, গেটম্যান এবং লোকো পাইলট অর্থাৎ ট্রেনের চালককে সিগনাল পাঠাবে।
ফলে যেখানে প্রাণিরা ঘুরছে সেখানে পৌঁছনোর আগেই রেল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারবে। যাতে সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে। ফলে আগামী দিনে এই এআইয়ের হাত ধরে অনেক বন্যপ্রাণের জীবন রক্ষা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা