এই স্টেশনে এসে ট্রেনের টিকিট কাটেন মানুষজন, কিন্তু কখনও ট্রেনে চড়েন না
এমন অনেক ঘটনা চারপাশে ঘটে যা দেখে বা শুনে অবাক হতেই হয়। দেশে এমন এক রেলস্টেশন রয়েছে যেখানে মানুষ এসে টিকিট কাটেন, কিন্তু ট্রেনে চাপেন না।
সাধারণত রেলস্টেশনে মানুষ হাজির হন যদি কোথাও যাওয়ার থাকে। সেখানে এসে ট্রেনের টিকিট কাটেন টিকিট কাউন্টার থেকে। গন্তব্যের টিকিট সঠিক ভাড়া দিয়ে কেটে অপেক্ষায় থাকেন ট্রেনের। তারপর ট্রেন এলে তাতে উঠে পাড়ি দেন গন্তব্যে।
এটা ভারতের বিভিন্ন রেলস্টেশন বলেই নয়, বিশ্বের সব প্রান্তের স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু এই ভারতেই এমন একটি রেলস্টেশন রয়েছে যেখানে প্রতিদিন ট্রেনের টিকিট কাটতে হাজির হন স্থানীয় মানুষজন।
কিন্তু হাজির হওয়া এলাকাবাসী ট্রেনে চড়েন না। কেন এভাবে ট্রেনের টিকিট কেটে পকেটের পয়সা ধ্বংস করেন তাঁরা? পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ।
এই স্টেশনের নাম দয়ালপুর। যা প্রয়াগরাজের কাছেই অবস্থিত। এই স্টেশনটি তৈরিতে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর উদ্যোগ ছিল। তিনিই তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীকে বলে স্টেশনটি তৈরি করে দেন।
সেই স্টেশন যাত্রীর অভাবে বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। ন্যূনতম টিকিট বিক্রি না হওয়ায় ২০০৬ সালে বন্ধ হয় এই স্টেশন। কিন্তু ২০২০ সালে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের চেষ্টায় ফের তা চালু হয়। কিন্তু রেলের শর্ত তো মানতেই হবে।
ন্যূনতম টিকিট প্রতিদিন বিক্রি হতেই হবে। তবে থাকবে স্টেশনের অস্তিত্ব। তাঁদের এই দয়ালপুর স্টেশনকে বাঁচাতে তাই এগিয়ে আসেন স্থানীয় মানুষজন।
তাঁরাই প্রতিদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে হাজির হন এই স্টেশনে। টিকিটও কাটেন। যাতে রেল কর্তৃপক্ষ দেখতে পান সেখানে ন্যূনতম টিকিট বিক্রি হচ্ছে।