ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন পার করল ১১১ বসন্ত
এ দেশে ব্রিটিশ রাজত্বে ট্রেন তার গতি পেয়েছে। তারপর ক্রমশ বেড়েছে তার ছোটার ক্ষমতা। সে সময় কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত চলত এই ট্রেন।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যেই ভারত ট্রেন নামক বস্তুটির সঙ্গে পরিচিত হয়। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের কোণায় কোণায়। মানুষ খুব চট করে পৌঁছে যেতে থাকেন দেশের অন্য প্রান্তে বা গন্তব্যে।
ট্রেনের গতিও বাড়তে থাকে। পরাধীন ভারতে বাড়তে থাকা ট্রেনের গতির নিরিখে সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেনের তকমা পায় এমন এক ট্রেন যা বম্বে থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যাত্রা করত।
ট্রেনের বগির সংখ্যা থাকত ৬টি। যারমধ্যে ৩টি যাত্রীদের জন্য। যাতে ৯৬ জন যাত্রী সফর করতে পারতেন। বাকি ৩টি বগি থাকত ডাক বিভাগের জন্য। যাতে করে চিঠি ও অন্য ডাক সরঞ্জাম যেত।
১৯১২ সালের ১ জুন ট্রেনটি তার প্রথম যাত্রা শুরু করে। তখন পাকিস্তান বলে কিছু ছিলনা। প্রথমে পঞ্জাব লিমিটেড নামে পরিচিতি পাওয়া পঞ্জাব মেল ট্রেনটি বম্বে থেকে ছেড়ে আগ্রা, দিল্লি, লাহোর হয়ে পৌঁছে যেত পেশোয়ারে।
এই পুরো রুটটি ছিল আড়াই হাজার কিলোমিটারের। যা সম্পূর্ণ করতে ট্রেনটি সময় নিত ৪৭ ঘণ্টা। ২ দিনের এই সফর ছিল পরাধীন ভারতের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন সফর। তখন কার্যত বম্বে থেকে পেশোয়ার ২ দিনে পৌঁছনো ছিল স্বপ্নের মত। সেই ট্রেনের প্রথম যাত্রা ১১১ বছর পূর্ণ করল।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্যতম চর্চিত ট্রেন ছিল ফ্রন্টিয়ার রেল। যা এখন গোল্ডেন টেম্পল এক্সপ্রেস। এই পঞ্জাব মেল তার চেয়ে ১৬ বছরের বড় ছিল।
পঞ্জাব মেল বলিউড সিনেমাতেও জায়গা পেয়েছে। ১৯৩৯ সালে ‘পঞ্জাব মেল’ নামে একটি সিনেমা তৈরি হয়। পরে ২০০৭ সালে ‘জব উই মেট’ সিনেমাতেও রয়েছে পঞ্জাব মেল। যে ট্রেনটি এখন আর পেশোয়ার না গেলেও তা পঞ্জাব পর্যন্ত সফর করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা