২ রাজ্যে একটিই স্টেশন, এক রাজ্যে টিকিটঘর, অন্য রাজ্যে বসেন স্টেশনমাস্টার
স্টেশন একটাই। কিন্তু স্টেশনটি আদপে দ্বিধাবিভক্ত। ২টি রাজ্য নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে স্টেশনটিকে। একটি রাজ্যের ভাগে টিকিট কাউন্টার। অন্য রাজ্যে বসেন স্টেশনমাস্টার।
স্টেশন একটিই। দেশের আর পাঁচটা স্টেশনের মতই। কোনও আলাদা কিছু নয়। কিন্তু স্টেশনটি সব স্টেশনের চেয়ে আলাদা। কারণ স্টেশনটি আসলে ২ ভাগে বিভক্ত।
২টি রাজ্য নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে একটি স্টেশন। যে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার একটি রাজ্যের ভাগে পড়ছে। আর স্টেশনের স্টেশনমাস্টার যেখানে বসেন সেটি অন্য রাজ্যের ভাগে পড়ছে।
স্টেশনটি মাঝখান থেকে কাল্পনিক ভাবে দ্বিধাবিভক্ত। শুধু একটি দিকে নজর করলে এই স্টেশনের ভাগাভাগি বুঝতে পারবেন সাধারণ মানুষও।
ভারতের যেকোনও রেলস্টেশনে ৩টি ভাষায় স্টেশনের নাম লেখা থাকে। হিন্দি, ইংরাজি এবং স্থানীয় ভাষায় লেখা থাকে নাম। কেবল এই স্টেশনে স্টেশনের নেমপ্লেটে ৪ ভাষায় নাম লেখা থাকে।
এই স্টেশনটি পড়ছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের সীমান্তে। নয়াপুর স্টেশনটি এমনভাবে রয়েছে যে তার একটি ভাগ পড়ছে গুজরাটে এবং অন্যটি মহারাষ্ট্রে।
ফলে সেখানে স্টেশনের নাম ৪টি ভাষায় লেখা থাকে। হিন্দি ও ইংরাজি ছাড়াও গুজরাটি এবং মারাঠি ভাষায় নাম লেখা থাকে নয়াপুর রেলস্টেশনের।
২টি রাজ্যে হওয়ায় এই স্টেশনে একটি বিশেষ বেঞ্চ আছে। যেখানে যাত্রীরা বসতে পারেন। এই বেঞ্চটি বিশেষভাবেই তৈরি করা হয়েছে। যার অর্ধেক পড়ছে গুজরাটে এবং অর্ধেক মহারাষ্ট্রে। বেঞ্চের কোন ভাগ কোন রাজ্যে পড়ছে তাও লেখা রয়েছে সেখানে। এখানে বসে অনেকেই ছবি তুলে নিয়ে যান।