অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ১৮৫৫ সালের ইঞ্জিনে আজও ছোটে এই ট্রেন
১৮৫৫ সালের ইঞ্জিন। যা শুধু এ দেশের নয় বিশ্ব রেল মানচিত্রে এক ইতিহাস। সেই ট্রেন আজও এ দেশে পর্যটকদের নিয়ে পাড়ি দেয় গন্তব্যে।
একটা সময় এই ইঞ্জিনই ছিল ছুটে চলা ট্রেনের বড় ভরসা। সেটা ছিল ১৮৫৫ সাল। সেই সময় বিশ্ব ট্রেন চিনছে। সে সময় ভারতের মাটি দাপিয়ে ছুটে চলা শুরু করে বাষ্পচালিত ইঞ্জিন ফেয়ারি কুইন। রূপকথার মতই সেই ইঞ্জিন ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ছুটে অবশেষে থামে।
তারপর সেই ইঞ্জিনকে আর সাধারণ যাত্রী পরিবহণের কাজে না লাগিয়ে তাকে দেওয়া হয় হেরিটেজ তকমা। এরপর দিল্লি থেকে হরিয়ানার রেওয়ারি পর্যন্ত যাতায়াত শুরু করে এই ট্রেন। তবে সাধারণ যাত্রী পরিবহণ নয়, পর্যটন আকর্ষণ হিসাবে চালু হয় তার যাত্রা।
ভারতে আজও এই ফেয়ারি কুইন ছুটে চলে। তবে এ ট্রেনে মাত্র ২টি কামরা রয়েছে। সর্বোচ্চ ৬০ জন যাত্রী নিতে সক্ষম এই রূপকথা। ছোট পথের এই যাত্রা আদপে একটা পর্যটন। বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ইঞ্জিনের সাথে ছুটে চলার অনন্য অভিজ্ঞতা।
এই ছোট্ট ট্রেনে গতি বড় কথা নয়। বরং এই ট্রেনে যতটা বেশি সময় কাটানো যায় সেটাই ট্রেনে চড়ে বসা মানুষের ইচ্ছা। এটা কোনও গন্তব্যে পৌঁছনো নয়। এটা একটা আনন্দ যাত্রা। যা সারা জীবন মানুষের কাছে একটা বড় প্রাপ্তি হয়ে থাকবে।
এটাই ফেয়ারি কুইনে চড়ার সবচেয়ে বড় মজাটা। তাই এই ট্রেনে বুকিং করার সময় যাওয়া ও আসার টিকিট একসঙ্গে বুক করে নেওয়া যায়। কারণ এখানে ট্রেন যাত্রাটাই আসলে বেড়ানো।