বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যৌথভাবে শিলান্যাস করলেন দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন কর্মযজ্ঞের। আমেদাবাদে এই শিলান্যাস কর্মসূচির দিন থেকেই চালু হয়ে গেল বুলেট ট্রেনের ট্র্যাক তৈরির কাজ। আমেদাবাদ থেকে মুম্বই, প্রথম বুলেট ট্রেনের এই যাত্রাপথ হবে ৫০৮ কিলোমিটারের। এরমধ্যে ৪৮৬ কিলোমিটার পথ মাটির ওপর দিয়ে যাবে। অর্থাৎ শূন্যে লাইন পাতা হবে। তার ওপর দিয়েই যাবে ট্রেনগুলি। মহারাষ্ট্রের থানের কাছে ৭ কিলোমিটার পথ যাবে সমুদ্রের তলা দিয়ে। বাকি পথ যাবে সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে।
বুলেট ট্রেনে পুরো পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে মাত্র ৩ ঘণ্টা। চালু হলে ৩৫ জোড়া ট্রেন দুটি শহরের মধ্যে দৈনিক যাতায়াত করবে। মাঝে থাকবে ১২টি স্টেশন। ট্রেনের সর্বাধিক গতি হবে ৩২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তবে সাধারণ গতি থাকবে ২৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ৭৫০ জন যাত্রী এই ট্রেনে সফর করতে পারবেন। ২০২২ সালের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। মোদীর ইচ্ছা ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট প্রথম ট্রেনের উদ্বোধন করার।
এদিন শিলান্যাসের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, বুলেট ট্রেন নতুন ভারত গড়ার স্বপ্নকে আরও একধাপ অগ্রসর করল। এই ট্রেন শুধু গতিই নয়, কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি করবে। এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে জাপান প্রমাণ করে দিল যে ভারতের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব কতটা প্রগাঢ়।
বুলেট ট্রেন প্রকল্পের খরচ ১ দশমিক ১ লক্ষ কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্কের অর্থব্যয়ের সিংহভাগই দিচ্ছে জাপান। মোট খরচের ৮১ শতাংশ দিচ্ছে তারা। এই ৮৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ হিসাবেই দিচ্ছে জাপান। কিন্তু যা শোধ দিতে হবে নামমাত্র সুদে। সুদ হবে ০ দশমিক ১ শতাংশ। তাও আবার পুরো ঋণ শোধ করতে সময় দেওয়া হয়েছে ৫০ বছর। অর্থাৎ পুরোটাই নিয়মের খেলা। কার্যত ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন জাপানের উপহারই হতে চলেছে।