রেগে গিয়ে এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরায় সাপ ছেড়ে দিল সাপুড়েরা
হাওড়া থেকে ছাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরায় সাপ ছেড়ে দিল কয়েকজন সাপুড়ে। সাপেরা কামরায় ছড়িয়ে পড়তে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি, আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
হাওড়া ও গোয়ালিয়রের মধ্যে যাতায়াত করে চম্বল এক্সপ্রেস। দূরপাল্লার এই ট্রেনে বহু যাত্রী সফর করেন। গত শনিবারও ওই ট্রেন যাত্রীদের ভিড়ে ভর্তি ছিল। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, বান্দা স্টেশন থেকে কয়েকজন সাপুড়ে চম্বল এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরাটিতে ওঠে। তারপর তাদের সঙ্গে থাকা সাপের ঝুরি থেকে কয়েকটি সাপকে বার করে খেলা দেখাতে শুরু করে।
সাপুড়েদের সঙ্গে থাকা বিন বাজিয়ে সাপের খেলা বেশ কিছুক্ষণ চলে। খেলা দেখানো শেষ করে সাপুড়েরা কামরার যাত্রীদের কাছে টাকা চাওয়া শুরু করে। কেউ টাকা দেন, কেউ দেননি।
যাঁরা সাপুড়েদের টাকা দিতে রাজি হননি, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কিছুটা ঝগড়াও হয় সাপুড়েদের। তারপরই তারা তাদের ঝুরিতে থাকা সাপ কামরায় ছেড়ে দেয়। কামরা জুড়ে ঘুরে বেড়াতে থাকে নানা আকৃতি ও নানা গোত্রের সাপ।
কামরা সাপে ভর্তি দেখে আতঙ্কে যাত্রীরা আর্তনাদ করতে থাকেন। সকলেই আপার বার্থে ওঠার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন। আবার অনেকে বাথরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে সাপদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করেন।
এরমধ্যেই রেলওয়ে কন্ট্রোল রুমে খবর যায় কামরায় সাপ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা অপেক্ষায় থাকে পরের স্টেশন মাহোবাতে। কিন্তু যাত্রীরা জানিয়েছেন, মাহোবা আসার আগেই সাপুড়েরা কামরায় ছড়িয়ে পড়া তাদের সাপগুলিকে ফের পাকড়াও করে নিয়ে যায়।
মাহোবা স্টেশনে ঢোকার আগেই চম্পট দেয় সাপুড়েরা। রেলের তরফে জানানো হয়েছে এই আধঘণ্টার সাপের তাণ্ডবের মধ্যে কাউকে সাপ ছোবল মারেনি। তবে যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল তা ভয়ংকর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা