এই ট্রেনকে পথ করে দিতে শতাব্দী, রাজধানীর চাকাও থেমে যায়
শতাব্দী, রাজধানীর মত দেশের অত্যন্ত গুরুত্ব পাওয়া সুপারফাস্ট ট্রেনও এই ট্রেনকে ট্র্যাক ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। এই ট্রেনটির গুরুত্ব শতাব্দী, রাজধানীর চেয়েও বেশি।
ভারতের যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটা ধরে রেখেছে ভারতীয় রেল। ভারতে কমবেশি দিনে ১০ হাজারের ওপর ট্রেন যাতায়াত করে চলেছে বিভিন্ন রুটে। এর মধ্যে রয়েছে সুপারফাস্ট, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার, লোকাল ট্রেন সবই। এছাড়া পণ্যপরিবহনে ছুটছে প্রচুর মালগাড়ি।
যাত্রী পরিবহণে যে ট্রেনগুলি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় রাজধানী, শতাব্দী, বন্দে ভারতের মত ট্রেনগুলি। যেগুলিকে পথ করে দিতে অন্য ট্রেনকে থামিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু রাজধানী শতাব্দীকেও থামিয়ে দেওয়া হয় একটি ট্রেনকে জায়গা করে দিতে। ভারতীয় রেলে এই ট্রেনকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বলা হয়।
ট্রেনটির নাম অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট বা এআরএমই ট্রেন। এই ট্রেন সবসময় ছোটে না। যদি কোনও ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে তখন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটির যাত্রীদের দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে এই ট্রেনকে কাজে লাগায় ভারতীয় রেল।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ট্রেন তৈরি থাকে। যদি কোনও ট্রেন দুর্ঘটনার খবর আসে তাহলেই ওষুধ সহ অন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে ছোটে এই ট্রেন।
তখন অন্য ট্রেন তো বটেই, এমনকি রাজধানী, শতাব্দীর মত ট্রেনও এই ট্রেনটির গতিপথে পড়লে রাজধানী, শতাব্দীকে দাঁড় করিয়ে এই ট্রেনকে আগে পাস করানো হয়। যাতে ট্রেন সবচেয়ে কম সময়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিকিৎসা ও ত্রাণ পরিষেবা প্রদান করতে পারে।