রাতের অন্ধকারে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে অন্য ট্রেনের ধাক্কা, মৃত্যু বাড়ছে
একটি দাঁড়িয়ে থাকা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে এসে ধাক্কা মারল অপর একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। অন্য প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি যথেষ্ট গতিতে ছিল। দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে।
ফের ট্রেন দুর্ঘটনা। ফের মৃত্যু। কয়েক মাস আগেই ওড়িশায় ৩ ট্রেনের সংঘর্ষে ২৮০ জনের মৃত্যুর স্মৃতি তাজা রয়েছে। সেই স্মৃতিকে উস্কে দিয়ে ফের ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটল। দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে এসে ধাক্কা মারে ওই লাইনে থাকা অপর একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ট্রেনটি যথেষ্ট গতিতে ছিল। ধাক্কায় ৩টি বগি লাইন থেকে ছিটকে যায়। যাত্রী বোঝাই ট্রেনে আর্তনাদের রোল ওঠে।
প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি বিশাখাপত্তনম থেকে রায়গড় যাচ্ছিল। মাঝে ওভারহেড তারের সমস্যার কারণে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। এই ট্রেনটির পিছনে একই লাইনে আসছিল পালাসা প্যাসেঞ্জার। ট্রেনটি গতিতেই এসে ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিতে।
দাঁড়িয়ে থাকা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনা ঘটার পরই রেলকর্মীরা ছুটে যান। আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে হাজির হন। যাত্রীদের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগি থেকে বার করে আনার কাজ শুরু হয়।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগর জেলার কণ্টকপল্লির কাছে এই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। আশপাশের সব হাসপাতালগুলিকেও জানানো হয় তৈরি থাকতে।
রবিবার রাতে ঘটা এই দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়। রাতের অন্ধকার থাকায় উদ্ধারকাজে গতি আনা মুশকিল হয়। অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। রেলের তরফে অ্যাকসিডেন্ট রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয় দুর্ঘটনাস্থলে। কেন প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও পালাসা প্যাসেঞ্জারকে আগে দাঁড় করানো হল না বা পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক সিগনাল দেখতে পাননি, সবই ধোঁয়াশায়। আপাতত যাত্রীদের উদ্ধারে বেশি জোর দিচ্ছে রেল। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও পরিস্কার নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা