State

তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর লাইনের জন্য ফের পুকুরের ধারে রেলকর্তারা

হুগলির তারকেশ্বর ও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মধ্যে নতুন রেল যোগাযোগের প্রকল্পকে সামনে রেখে ফের পুকুরের ধারে পৌঁছে গেলেন রেলকর্তারা।

রাজ্যের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র হুগলির তারকেশ্বর। অন্যদিকে এ রাজ্যের অন্যতম পর্যটনক্ষেত্র বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর। যেখানকার রাসমঞ্চ, মদনমোহন মন্দির, পঞ্চরত্ন মন্দির, রাধাশ্যাম মন্দির সহ আরও নানা মন্দির এবং টেরাকোটা ও সিল্ক শাড়ির টানে এখানে সারা বছর পর্যটকেরা হাজির হন।

এই ২ জায়গার মধ্যে যোগসূত্র তো বটেই, সেই সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের স্মৃতি বিজড়িত কামারপুকুর ও জয়রামবাটি-তেও সহজে ভক্ত পর্যটকদের পৌঁছনোর সুবিধার কথা মাথায় রেখে অনেকদিন আগেই তারকেশ্বর ও বিষ্ণুপুরের মধ্যে রেল যোগাযোগের প্রকল্প গৃহীত হয়।


কিন্তু তা এতদিন ধরে আটকে আছে কেবল হুগলির গোঘাটের ভবদিঘি পুকুরের আশপাশের কয়েকজন বাসিন্দা জমি দিতে রাজি না হওয়ায়। আবার ওই জমি না পাওয়া গেলে তারকেশ্বর ও বিষ্ণুপুরের মধ্যে রেল যোগাযোগও সম্ভব হচ্ছেনা।

তাই তাঁদের বুঝিয়ে ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য পূর্ব রেলের কর্তারা ফের হাজির হয়েছেন সেখানে। বিষয়টি নিয়ে এবার তাঁরা আরও বেশি উদ্যোগী। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ০.৭৮ একর জমি অধিগ্রহণ বাকি।


এই তারকেশ্বর ও বিষ্ণুপুরের মধ্যে রেল যোগাযোগ শুরু হলে সরাসরি হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর ইএমইউ ট্রেন চালু করা সম্ভব বলেই মনে করছে রেল। এতে আর বিষ্ণুপুর যাওয়ার জন্য বাস ধরতে হবেনা।

হাওড়া তারকেশ্বর রেল রুট তো রয়েছেই। তারকেশ্বরের সঙ্গে বিষ্ণুপুর জুড়ে গেলে হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর ৩ ঘণ্টায় লোকাল ট্রেনেই পৌঁছে যাওয়া যাবে। যে রুটে ভাড়া হবে ৩০ টাকা। কিন্তু বিষ্ণুপুর বাসে যেতে গেলে এখন লাগে প্রায় ১৫০ টাকা। পূর্ব রেলের কর্তারা এমনই জানাচ্ছেন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button