মেল, এক্সপ্রেস এবং সুপারফাস্ট ট্রেনের ফারাক কোথায়
ট্রেনে সফর করার সময় গাড়ির নামে মেল, এক্সপ্রেস বা সুপারফাস্ট থাকে। এদের ফারাক কিন্তু বিস্তর। এই ৩ ধরনের ট্রেনের মধ্যে কোথায় পার্থক্য।
ট্রেনে সফরকালে যে ট্রেনে যাত্রা করছেন সেই ট্রেনটি মেল ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেন, নাকি সুপারফাস্ট ট্রেন এখন নাম দেখলেই জানা যায়। কিন্তু কেন ট্রেনটি মেল, এক্সপ্রেস বা সুপারফাস্ট তা অনেক যাত্রীর জানা থাকেনা।
বলা হয় তাই বলা। যেমন কালকা মেল। আবার ধরুন ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেস। এভাবে বিভিন্ন ট্রেন আলাদা হয় কীভাবে তার কিছু নিয়ম রয়েছে।
আগে একসময় কিছু ট্রেনে একটি করে চিঠিপত্রের কামরা যোগ করা হত। তাতে কেবল চিঠি যেত। সাধারণত সেই কামরার রং লাল হত।
যেসব ট্রেনে একটি চিঠির কামরা যুক্ত করা হত তাকে মেল ট্রেন বলা হত। কালক্রমে চিঠির জন্য আলাদা কামরা এখন আর থাকেনা। তবে এই ট্রেনের নামগুলোতে মেল শব্দটা এখনও থেকে গেছে। মেল ট্রেনে স্টপেজ বেশি হয়।
এক্সপ্রেস ট্রেন শব্দটা এখন অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে শোনা যায়। এক্সপ্রেস ট্রেন মেল ট্রেনের চেয়ে অধিক গতিসম্পন্ন হয়। এর স্টপও কম হয়।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের চেয়েও বেশি গতিসম্পন্ন ট্রেন হয় সুপারফাস্ট ট্রেনগুলি। এগুলির গতি অবশ্যই ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেশি হয়। অনেক সময় তা ১০০ কিলোমিটারেরও অনেক বেশি গতিতে ছোটে। স্বভাবতই এর ভাড়া মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের চেয়ে বেশি হয়।
এছাড়াও ভারতীয় রেলে প্যাসেঞ্জার ট্রেন শব্দটি অত্যন্ত পরিচিত। প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছোট দূরত্বে যাতায়াত করে। প্যাসেঞ্জার ট্রেন প্রায় সব স্টেশনেই দাঁড়ায়। এর গতিও তুলনায় কম হয়। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়াও তুলনায় কম হয়ে থাকে।