এক স্টেশনে পূর্ণিমার রাতে কে যেন ঘোরে, অন্য স্টেশনে ডুকরে কেঁদে ওঠে নারী
দেশজুড়ে রেলস্টেশনের অভাব নেই। এর মধ্যেই এমন ২টি স্টেশন রয়েছে যেখানে একটিতে পূর্ণিমার রাতে ফাঁকা হয়ে যায় স্টেশন। অন্যটিতে শোনা যায় কান্না।
ভারতে জালের মত ছড়িয়ে আছে রেলপথ। রয়েছে প্রচুর স্টেশন। ছোট বড় নানাধরনের স্টেশন রয়েছে যাত্রীদের স্বার্থে। এর মধ্যে কিছু স্টেশন নিয়ে নানা কাহিনিও রয়েছে। যেমন পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে বেগুনকোদর স্টেশন যেখানে রাতে নাকি ভূতের আনাগোনা বাড়ে।
এমনই দেশে আরও ২টি এমন স্টেশন রয়েছে যার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই জড়িয়ে গেছে ভৌতিক কাহিনি। এর একটি হল উত্তরপ্রদেশের নৈনি স্টেশন। এখানে অন্য কোনও দিন কিছু না থাকলেও পূর্ণিমার রাত নাকি বড়ই আতঙ্কের।
অনেকের দাবি, পূর্ণিমা রাতে ফাঁকা স্টেশনে কে যেন ঘুরে বেড়ায়। সে মানুষ নয়। ভূতের মত। সে স্টেশন চত্বরে ঘুরতে থাকে। তারপর এক সময় আচমকাই মিলিয়ে যায় বাতাসে। নৈনি স্টেশনে পূর্ণিমা রাতে এই ভূতের কাহিনি কিন্তু অনেক দিন ধরে প্রচলিত। তাই রাতে এ স্টেশনে কেউ থাকতে চান না।
আবার অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর স্টেশনকে অনেকেই ভৌতিক বলে থাকেন। এখানে কোনও এক সময় এক মহিলা রেলে কাটা পড়েন। এই ভৌতিক তকমা তারপর থেকেই জুড়েছে চিত্তুর স্টেশনের সঙ্গে।
এ স্টেশনে নাকি রাতের দিকে নারী কণ্ঠে কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। রাতের দিকে এই কান্নার শব্দ অনেক রেলকর্মীই শুনেছেন বলে দাবি করেন।
শুধু রেলকর্মীরাই নন, অনেক যাত্রীও তাতে সায় দিয়েছেন। তাঁরাও নাকি রাতে এ স্টেশনে স্পষ্ট নারী কণ্ঠে কান্নার শব্দ শুনেছেন।