সাড়ে ৩ বছর লেট করেছিল একটি ট্রেন, এই দেরি আজও একটা ইতিহাস
ট্রেন লেট করার কথা তো সকলের জানা। কিন্তু তা কত দেরি করতে পারে। সাড়ে ৩ বছর নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু দেশে রেলের ইতিহাসে এটাও ঘটেছে।
ট্রেন লেট করার সঙ্গে সকলেই পরিচিত। দূরপাল্লার সফরে ট্রেন কখনও ১ ঘণ্টা তো কখনও ১ দিনও লেটে পৌঁছেছে। এমন ঘটনা নতুন নয়। একবারই ঘটেছে এমনটাও নয়। কিন্তু একটা ট্রেন যদি সাড়ে ৩ বছর লেটে গন্তব্যে পৌঁছয়! এবার তো নড়েচড়ে বসতেই হয়।
অনেকের মনে হতে পারে সঠিক পড়ছেন কিনা। সঠিকই পড়ছেন। সাড়ে ৩ বছর লেট করেছিল একটি ট্রেন। ২০১৪ সালে ১৪ লক্ষ টাকার সার নিয়ে এই মালবাহী ট্রেনটি বিশাখাপত্তনম থেকে যাত্রা করে। গন্তব্য ছিল উত্তরপ্রদেশের বাস্তি।
হিসাব বলছে এই যাত্রাটি একটি মালবাহী গাড়ির জন্য ৪২ ঘণ্টার হয়ে থাকে। গাড়ি সঠিক সময়ে মাল নিয়ে বিশাখাপত্তনম থেকে রওনাও হয়। কিন্তু বাস্তি আর পৌঁছয়নি।
বাস্তি না পৌঁছনোয় যিনি ট্রেনে সার পাঠিয়েছিলেন সেই ব্যবসায়ী রামচন্দ্র গুপ্তা বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু ট্রেনের দেখা মেলেনা।
রামচন্দ্র গুপ্তা রেল দফতরকে বারবার চিঠি লেখেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। রেল কর্তৃপক্ষ কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। এভাবে বছর কাটতে থাকে। ১ বছর, ২ বছর করে কেটে আসে ২০১৮ সাল।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে দেখা যায় সার নিয়ে মালগাড়িটি বাস্তি স্টেশনে হাজির হয়েছে। বিশাখাপত্তনম থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে যাত্রা করে মালবাহী ট্রেনটি উত্তরপ্রদেশের বাস্তি পৌঁছয় ২০১৮ সালের জুলাইতে!
এটাই ভারতীয় রেলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি লেট হিসাবে চিহ্নিত। তবে কেন সাড়ে ৩ বছর লেট, কোথায় এতদিন আটকে ছিল ট্রেনটি, কেনই বা ছিল, তার কোনও সদুত্তর রেল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। বলা বাহুল্য ২০১৮ সালে ট্রেনটি সার নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছিল ঠিকই, কিন্তু সব সারই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।