লাইনে পড়ে আছে বালির স্তূপ, নিশ্চিত লাইনচ্যুতি থেকে আশ্চর্য রক্ষা ট্রেনের
ট্রেনলাইনের ওপর স্তূপ করে পড়ে আছে বালি। ট্রেন তার ওপর এসে পড়া মানে লাইনচ্যুত হওয়া প্রায় নিশ্চিত। সেই ঘটনা ঘটার আগে একজনের জন্য আশ্চর্য রক্ষা ট্রেনের।
ভারতে ট্রেনলাইনে কখনও পড়ে থাকছে বাইসাইকেল, কখনও সিমেন্টের ব্লক, কখনও এলপিজি সিলিন্ডার তো কখনও লোহার রড। গত অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত নানাভাবে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে ১৮ বার।
কদিন আগেই তো লখনউগামী একটি ট্রেনের চালক লাইনের ওপর একটি গাড়ি দেখতে পান। কোনওক্রমে ট্রেনটিকে দাঁড় করান তিনি। এবার আর এক উপায়ে ট্রেনকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা হল।
ট্রেনলাইনের ওপর স্তূপ করে কেউ ফেলে গেল বালি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কাছেই রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। সেখানে আসা একটি বালি ভর্তি ডাম্পার রাত ৮টা নাগাদ বালি অন্যত্র না ফেলে ট্রেন লাইনের ওপর ফেলে সেখান থেকে চম্পট দেয়।
তারপরই ওই লাইনে আসার কথা ছিল রায়বরেলি রঘুরাজ সিং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের। ট্রেনটি এসেও পড়ে। যদিও তখন অন্ধকার। তবে ট্রেনের চালক সজাগ ছিলেন। তিনি সামনে ট্রেনলাইনে ওই বালির স্তূপ দেখতে পান। বুঝতে পারেন ওর ওপর গিয়ে পড়া মানেই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যাবে।
তাই দ্রুত এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন চালক। ট্রেনটিকে জোর করে দাঁড় করানোর চেষ্টা হওয়ায় সেটি প্রবল কর্কশ আওয়াজ করে দাঁড়িয়ে পড়ে। তবে লাইনচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা পায়। চালকের তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়। নাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটা ছিল সময়ের অপেক্ষা।
রায়বরেলির রঘুরাজপুর রেলওয়ে ক্রসিংয়ের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনের গতি কম থাকায় এ যাত্রায় ট্রেনটিকে এভাবে ব্রেক কষে থামানো সম্ভব হয়। ট্রেনের গতি বেশি থাকলে এত দ্রুত ট্রেন দাঁড়াত না।
ফলে তা ওই বালির স্তূপের ওপর দিয়েই ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করত এবং দুর্ঘটনা ঘটত। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখে তাদের পাকড়াও করার চেষ্টা শুরু করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা