বরসহ বরযাত্রীদের বিবাহবাসরে পৌঁছতে অভিনব সাহায্য রেলের
যা হল হাওড়া স্টেশনেই হল। তাতে বিয়ে করতে যাওয়া পাত্র ও বরযাত্রীদের প্রভূত উপকার হল। বিবাহবাসরে তাঁরা সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারলেন।
ভারতীয় রেল এক পাত্র ও পাত্রের সঙ্গে থাকা বরযাত্রীদের যেভাবে পাশে এসে দাঁড়াল, যেভাবে বিয়েটা নিশ্চিত করল, বিবাহবাসরে সঠিক সময়ে বরকে পৌঁছে যেতে সাহায্য করল তা হয়তো এক কাহিনি হয়ে রেলের ইতিহাসে থেকে যাবে।
বিয়ে অসমের গুয়াহাটিতে। সেখানেই পাত্রীপক্ষ অপেক্ষায় পাত্রের। পাত্রীও অপেক্ষায়। এদিকে পাত্রপক্ষ আসছে মুম্বই হাওড়া গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেসে চেপে। যা মাঝপথে সাড়ে ৩ ঘণ্টা লেট। যার অর্থ তা হাওড়া পৌঁছতে দেরি হবে।
এদিকে হাওড়া পৌঁছে বর ও বরযাত্রীদের সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরার কথা। সেই ট্রেনেই তাঁরা টিকিট কেটেছেন গুয়াহাটি পৌঁছনোর জন্য। কিন্তু গীতাঞ্জলী যা লেট করেছে তাতে তাঁদের পক্ষে সরাইঘাট ধরা প্রায় অসম্ভব।
পাত্রের তরফ থেকে গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস থেকেই ট্যুইট করা হয় রেলমন্ত্রক ও রেলমন্ত্রীর কাছে। কিছু একটা ব্যবস্থা যেন তারা করে সেই অনুরোধ জানিয়েই এই ট্যুইট করা হয়। যাতে পাত্র ও সঙ্গে থাকা ৩৫৪ জনের বরযাত্রী সঠিক সময়ে গুয়াহাটি পৌঁছতে পারেন। নির্ধারিত সময়ে বিয়েটা হয়।
ট্যুইট বিফলে যায়নি। রেল কর্তৃপক্ষ সেই আবেদনে সাড়া দেয়। তারা হাওড়া থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেস যখন ছাড়ার কথা তখন ছাড়তে না দিয়ে তা কিছুটা দেরিতে ছাড়ে। যাতে গীতাঞ্জলী পৌঁছে যেতে পারে হাওড়ায়।
তারপর সেই ট্রেন থেকে পাত্র ও বরযাত্রী উঠে পড়তে পারেন সরাইঘাট এক্সপ্রেসে। সেটাই হয়। বর ও বরযাত্রী ওঠার পর সরাইঘাট এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশন ছাড়ে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।