স্টেশনে কেনাকাটায় রেল যাত্রীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ
ট্রেনে কোথাও যাত্রা করার সময় একাধিক জায়গায় থামে ট্রেন। সেসব স্টেশনে কেনাকাটার সুযোগ কিন্তু বাড়ছে। যাত্রীদের সামনে আসছে শহরে না ঢুকেও সুবর্ণ সুযোগ।
রেলে দূরে কোথাও যাত্রা করার সময় ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে থামে। স্টেশনে থামলে যাত্রীরা অনেকে স্টেশনে নেমেও পড়েন। আবার কোথাও গেলে সেই শহরের স্টেশনে তো নামতেই হয় অথবা সেই স্টেশন থেকে যাত্রার জন্য ট্রেন ধরতে হয়।
ফলে যাত্রীদের জন্য রেলস্টেশন নানাভাবে কাজে লাগে। রেলস্টেশনে খাবারদাবার, ফল, বই বা ম্যাগাজিন, জল, চা, কফির দোকান, এসব দেখাই যায়। কিন্তু ভারতের ১ হাজার ৮৫৪টি এমন স্টেশনও রয়েছে যেখানে এসব ছাড়াও একধরনের স্টল নজর কাড়ছে।
ভারতের নানা রাজ্যের নানা শহরের নানা বিশেষত্ব রয়েছে। যেমন কোনও শহরের বিশেষ ধরনের শাড়ি বা কোনও পোশাক বিখ্যাত। কোনও জায়গা তার বিশেষ শিল্পকীর্তির জন্য বিখ্যাত। যেমন মহারাষ্ট্রের জলগাঁও এবং ভুসাওয়ালে বিখ্যাত পৈঠানি শাড়ি।
আবার আগ্রার বিখ্যাত সেখানকার পেঠা। আবার বাঁশের তৈরি নানা জিনিসের জন্য বিখ্যাত আকোলা। এমন নানা জায়গায় নানা বিখ্যাত পোশাক, শিল্পের সম্ভার নিয়ে মহিলা পরিচালিত একটি করে স্টল তৈরি হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন স্টেশনে।
এতে ওই শহরে পা না দিয়েও যাত্রীরা স্টেশনেই সেখানকার বিখ্যাত জিনিস কিনতে পারবেন। মানে কেউ হয়তো আকোলায় নামবেন না। কিন্তু স্টেশনটিতে ট্রেন দাঁড়াবে। তাহলে আকোলার বিখ্যাত বাঁশের জিনিস তিনি শহরে পা রেখে ট্রেন দাঁড়ালে স্টেশন থেকেই কিনে নিতে পারবেন।
এই স্টলগুলি প্রতিটিই মহিলা পরিচালিত। কেন্দ্রের ওশপ বা ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট নাম দিয়ে এই উদ্যোগ অনেক মহিলাকে স্বনির্ভর করে তুলছে। আবার এর ফলে স্থানীয় শিল্প, হাতের কাজ, শাড়ি বা অন্য পোশাকের বিক্রিও বাড়ছে।
যা স্থানীয় অর্থনীতির পক্ষে ভাল খবর। এখনও ১ হাজার ৮৫৪টি স্টেশনে এমন স্টল তৈরি হলেও তা ক্রমশ বাড়ছে। দেশের আরও বিভিন্ন রেলস্টেশনে এই উদ্যোগ কার্যকর হবে আগামী দিনে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা