এমন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আগে দেখেনি ভারত, সুযোগ সুবিধা জানলে গর্ব হবে
খোলা আকাশের নিচে নানা আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে ছুটে যেতে হয় ট্রেনকে। এই বন্দে ভারতকে প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করা ও একগুচ্ছ যাত্রী সুবিধাসহ তৈরি করা হল।
ভারতের নানা প্রান্তে এখন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছড়িয়ে পড়েছে। নানা রুটে বহু যাত্রী এখন বন্দে ভারতে সফর করছেন। তবে এবার এমন এক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তার পরীক্ষামূলক সফর সমাপ্ত করল যা অন্য কোনও বন্দে ভারতের সঙ্গে মেলেনা। এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তৈরি করা হয়েছে সে যে রুটে ছুটবে সেখানকার আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কথা মাথায় রেখে।
জম্মু কাশ্মীরের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে উধমপুর শ্রীনগর বারামুলা রেল যোগাযোগের কথা চলছিল। সেই রুটকেই যাত্রীদের কাছে সুগম করতে এবার একটি বিশেষভাবে তৈরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পরীক্ষামূলক ভাবে ছুটল কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত।
এই সফর সফলও হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে ভারতের বাকি অংশের রেল যোগাযোগে এক অন্যতম ভূমিকা নিতে চলেছে এই ট্রেন রুট।
এই বন্দে ভারত যেহেতু কাশ্মীরের ওপর দিয়ে সারাবছর ছুটবে তাই সেখানকার প্রতিকূল আবহাওয়াকে প্রতিহত করার কথা মাথায় রাখা হয়েছে এই ট্রেনটি তৈরির সময়। যাতে এই ট্রেন সারাবছর তার যাত্রা নিশ্চিত করতে পারে সেজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ট্রেনে।
মাইনাস ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও ট্রেনটি যাতায়াত যোগ্য করে তৈরি করা হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে নানা সুবিধা। যেমন ট্রেনের জল ও বায়ো টয়লেটের ট্যাঙ্ক যাতে ঠান্ডায় জমে না যায় সেজন্য বিশেষ গরম রাখার ব্যবস্থা রয়েছে ট্রেনে।
কমলা, ধূসর ও কালো রংয়ের এই ট্রেনে রয়েছে বিশেষ হিটিং সিস্টেম। ট্রেনের ভ্যাকুয়াম সিস্টেমের জন্য রয়েছে গরম হাওয়ার ব্যবস্থা। অতি প্রবল ঠান্ডাতেও যাতে এয়ার ব্রেকে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য বিশেষভাবে গরম হাওয়ার সুবিধা রয়েছে ট্রেনে।
ট্রেনের চালকের সামনে যে কাচ থাকে তা যাতে বরফ মুক্ত থাকে সেজন্য রয়েছে ডিফ্রস্টের ব্যবস্থা। কাচকে ডিফ্রস্ট করে চালকের সামনে দেখার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হতে দেবেনা এই সুবিধা। এছাড়াও ঠান্ডার মধ্যে দিয়ে ছুটে চলার জন্য নানা সুবিধা থাকছে ট্রেনটিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা