কুম্ভস্নান হল না, তার জেরে রেলের মাথার ওপর ঝুলছে ৫০ লক্ষ টাকার খাঁড়া
মহাকুম্ভ মেলা চলছে প্রয়াগরাজে। পরিবার নিয়ে সেখানে যেতে পারলেননা এক ব্যক্তি। তার জেরে এবার ৫০ লক্ষ টাকার খাঁড়া ঝুলছে রেল কর্তৃপক্ষের সামনে।
কোটি কোটি মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যস্নানে হাজির হচ্ছেন মহাকুম্ভে। ইতিমধ্যেই ৩টি শাহি স্নান বা অমৃত স্নানে কয়েক কোটি মানুষের সমাগম হয়েছে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে মেলায়। সেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ স্নান করতে হাজির হন গত মৌনী অমাবস্যার দিন।
তার আগে গত ২৬ জানুয়ারি বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার বাসিন্দা জনক কিশোর ভারতীয় রেলকে চিঠি দিয়ে জানান যে তিনি তাঁর শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে মহাকুম্ভে যাচ্ছিলেন। মুজফ্ফরপুর থেকে প্রয়াগরাজে যাওয়ার জন্য তাঁর কাছে এসি ৩ টায়ারের টিকিট ছিল।
স্বতন্ত্রতা সেনানী এক্সপ্রেসে টিকিট করা ছিল। ট্রেনটি স্টেশনে আসার পর তিনি তাঁর নির্দিষ্ট কামরায় উঠতে যান। কিন্তু কামরাটি ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। বৈধ টিকিট হাতে নিয়ে তিনি বারবার ওই দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
কিন্তু কেউ কান দেননি। এমনকি তিনি রেলকর্মীদের অনুরোধ করেন। হাতে বৈধ টিকিট নিয়ে জনক কিশোর এবং তাঁর শ্বশুর শাশুড়ি দাঁড়িয়ে থাকেন স্টেশনে।
ট্রেন স্টেশন ছেড়ে চলে যায়। অন্য কামরায় উঠতে পারেননি। কারণ এত ভিড় ছিল যে তাঁর নির্দিষ্ট কামরা ছাড়া অন্য কামরার সামনেও ঘেঁষতে পারেননি তিনি।
টিকিট কেটেও ট্রেনে উঠতে না পারার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকেই দুষেছেন জনক কিশোর। কুম্ভস্নান করতে না পারাটা তাঁর কাছে কখনওই অভিপ্রেত ছিলনা। তিনি রেলকে ১৫ দিনের সময় দিয়েছেন।
এই সময়ের মধ্যে তাঁর টিকিটের দাম সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে। নয়তো তিনি রেলের বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করবেন বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিহারের ওই বাসিন্দা।