কৃষকদের কৃষিঋণের সুদ একবারেই মকুব করার দাবিতে দিল্লিতে কিষাণ মুক্তি সংসদের আন্দোলনে যোগ দিতে মহারাষ্ট্রের কোলাপুর থেকে একটি ট্রেন ভাড়া করে এসেছিলেন প্রায় আড়াই হাজার কৃষক। যার মধ্যে মহিলারাও ছিলেন। আন্দোলন শেষে দিল্লি থেকে কোলাপুর ফেরত যাওয়ার জন্য গত মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ ট্রেনে চেপে বসেন ওই কৃষকরা। ট্রেন ছেড়ে দেয়। অনেকটা রাত হয়েই গিয়েছিল। তাই সবাই খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়েও পড়েন। ট্রেন তার নিজের মত করে এগোয় গন্তব্যের দিকে। বুধবার ভোর ৬টা নাগাদ কয়েকজনের ঘুম ভেঙে যায়। ট্রেন তখন দাঁড়িয়ে আছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের কাছে বানমোর স্টেশনে। এবার সকলের টনক নড়ে যে এ স্টেশনে তো তাঁদের আসার কথাই নয়। তাহলে এখানে ট্রেন কি করছে? খোঁজ নিতে গিয়ে মাথায় হাত। স্টেশনমাস্টার সহ অন্যান্য রেল কর্মীর সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বুঝতে পারেন একেবারে ভুল পথে চলে এসেছেন তাঁরা। সিগনালিংয়ের ভুলেই এই দুর্দশা বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
প্রায় ১৬০ কিলোমিটার একেবারে অন্য পথে ছুটেছে ট্রেনটি। ফলে বড় ধরণের দুর্ঘটনারও সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রেল। এদিকে বানমোর স্টেশন থেকে তাদের সঠিক পথে ফেরার জন্য গ্রিন সিগনাল দিতে স্টেশনমাস্টার অস্বীকার করেন। তাতে ক্ষুব্ধ কৃষকরা কিছুক্ষণ ওই স্টেশনে রেল অবরোধও করেন।