ভাগাড় কাণ্ডের পর এমনিতেই তটস্থ এ রাজ্যের বাসিন্দারা। তার মাঝেই আঁতকে ওঠার মত একটি ভিডিও সামনে আসতেই হৈহৈ পড়ে গেল গোটা দেশে। দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে কোথাও ঘুরতে গিয়ে এক-আধবার হকারদের থেকে কিনে চা বা কফি পান করেছেন অনেকেই। কিন্তু অনেকেই জানেন না চা বা কফি বানানোর জল কোথা থেকে আসত? হতেই পারে যে তা সংগ্রহ করা হয়েছিল ট্রেনের শৌচাগার থেকে! অবিশ্বাস্য হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক যাত্রীর কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও-ই তার প্রমাণ। ভিডিওটি গত বছর ডিসেম্বর মাসের। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চা-কফির ক্যানে ট্রেনের শৌচাগার থেকে জল ভরছে কয়েকজন ব্যক্তি। তাদের পরনে বিশেষ নীল পোশাক। সেই জল পৌঁছে যাচ্ছে স্টেশনের চা বিক্রেতাদের কাছে।
ভিডিওটি দেখার পর কারোর বুঝতে বাকি থাকেনা, ট্রেনের শৌচাগারের জল দিয়ে বানানো হচ্ছে ধোঁয়া ওঠা সুস্বাদু চা, কফি। বিতর্কিত ভিডিওটি অবশ্য এ রাজ্যের নয়। চেন্নাই সেন্ট্রাল-হায়দরাবাদ চারমিনার এক্সপ্রেস ট্রেনের শৌচাগার থেকে চায়ের জল সংগ্রহের সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তে নামে দক্ষিণ-মধ্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। খোঁজ শুরু হয় অভিযুক্তদের। যাদের মধ্যে পি শিবপ্রসাদ নামে ট্রেনের ভেন্ডিং কনট্রাক্টরকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আইআরসিটিসি। রেলের তরফে জানান হয়, ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে তারা শিবপ্রসাদের অধীনেই কাজ করত। যাদের মধ্যে দু’জন অনথিভুক্ত হকার। মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটার আশ্বাস দিয়েছেন দক্ষিণ-মধ্য রেলওয়ের আধিকারিকরা।