স্টেশন চত্বরও মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত নয়। অপেক্ষমাণ যাত্রীরা মহিলার শ্লীলতাহানি হতে দেখেও চুপ করে থাকেন। স্টেশনের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সুরক্ষাকর্মীদের নজর এড়িয়ে দুষ্কৃতিরা এক মহিলাকে টেনে নিয়ে যেতে পারে অন্ধকার কোণায়। তাঁকে ধর্ষণের হুমকিও দিতে পারে। গত বুধবার রাতে জনবহুল সোদপুর স্টেশনে যা ঘটল তারপর এগুলোর কোনওটাকেই আর অমূলক বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সোদপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কথা কাটাকাটি চলছিল এক দম্পতির মধ্যে। অভিযোগ সে সময়ে কয়েকজন দুষ্কৃতি মদ্যপ অবস্থায় তাঁদের কাছে এসে ঝগড়ার কারণ জানতে চায়। দম্পতি জানান এটা নেহাতই তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। এবার প্রশ্ন আসে তারা যে দম্পতি তারই বা প্রমাণ কী? দুষ্কৃতিদের এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি ওই দম্পতি।
অভিযোগ তারপরই স্টেশনে দাঁড়ানো এত লোকের সামনেই আচমকা ওই গৃহবধূকে টানা হেঁচড়া শুরু করে দুষ্কৃতিরা। টানতে টানতে তাঁকে কয়েকজনে মিলে স্টেশনের অন্ধকার কোণায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই মহিলা শ্লীলতাহানির শিকার হন। স্ত্রীকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর স্বামী। কোনওক্রমে দুষ্কৃতিদের হাত থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তিনি। দুষ্কৃতিদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তাঁর টিশার্টও ছিঁড়ে যায়। পরে জিআরপি-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই দম্পতি। তবে দুষ্কৃতিদের কেউ ধরা পড়েনি।
এই ঘটনার পর স্টেশন চত্বরের নিরাপত্তা ও অন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বুধবার যদি ওই মহিলার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অন্য যাত্রীদের পরিজন কোনও মহিলার সঙ্গেও এটা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্য যাত্রীরা এগিয়ে আসবেন কিনা তা এখন প্রশ্নের মুখে। এটা হয়ত অন্য যাত্রীরা সেখানে ওই মহিলার সঙ্গে এমন অভব্য আচরণ হওয়ার সময় একবার ভেবে দেখতে পারতেন।