ট্রেন তখন ঢুকেছে চুঁচুড়া স্টেশনে। ব্যান্ডেল লোকাল। শুক্রবার সকালে ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় সাড়ে ৮টা। স্টেশনে বেশ ভিড়। সেইসময়ে আচমকাই ট্রেনের ছাদে উঠে পড়েন এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। অচেনাও নন তিনি। তাঁকে চুঁচুড়া স্টেশন চত্বরেই অনেকদিনই ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন নিত্যযাত্রীরা। ট্রেনের ছাদে ওঠা মানে যে মৃত্যুকে হাতছানি দেওয়া তা বিলক্ষণ জানেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন। তাই তাঁরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। অবিলম্বে মহিলাকে ট্রেনের ছাদ থেকে নেমে আসতে বলেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কারও কথায় কান না দিয়ে ছাদ ধরে সোজা হাঁটা শুরু করেন ওই মহিলা। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে নামানো যায়নি। অবশেষে ট্রেনের ছাদে থাকা প্যান্টোগ্রাফে জড়িয়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাঁর সারা শরীর দিয়ে ধোঁয়া বার হতে থাকে। ট্রেনের ছাদেই মৃত্যু হয় ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার। এই মর্মান্তিক দৃশ্য অনেক যাত্রীকেই মর্মাহত করেছে। অনেকেই আফসোস করেছেন এমন জায়গায় ওই মহিলা পৌঁছে গেলেন যে সেখান থেকে তাঁকে নামানো সাধারণ মানুষের সাধ্য ছিলনা। ফলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেখতে হল এক মহিলার মৃত্যু। এজন্য আবার অনেকে ট্রেনের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনার জেরে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে রেল পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে।