ছেলেকে নিয়ে হাবড়া থেকে শিয়ালদহমুখী ট্রেন ধরতে একটু তাড়াহুড়ো করেই স্টেশনে এসে পৌঁছেছিলেন লক্ষ্মীরানি মণ্ডল। জানা গেছে, স্টেশনে এসে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। ছেলের সঙ্গে তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে গিয়ে সেই ট্রেন ধরেন তিনি। কিন্তু ট্রেনে উঠেই বুঝতে পারেন ট্রেনটি লেডিজ স্পেশাল। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ট্রেনে পুরুষ প্রবেশ নিষেধ। আর তা নিশ্চিত করতে কামরায় মোতায়েন থাকেন আরপিএফ। লক্ষ্মীরানির ছেলেকে উঠতে দেখেই তাঁকে নামিয়ে নেন আরপিএফের কর্তব্যরত কর্মীরা।
ছেলেকে এভাবে আরপিএফ নামিয়ে নিল কেন তা জানতে হাঁকপাঁক শুরু করেন লক্ষ্মীরানি। এদিকে ততক্ষণে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। কোনও কিছু না ভেবে ছেলের কি হল দেখতে চলন্ত ট্রেন থেকেই প্ল্যাটফর্মে নামার জন্য ঝাঁপ দেন তিনি। খুব স্বাভাবিকভাবেই টাল রাখতে পারেননি। প্ল্যাটফর্মের ওপর ছিটকে পড়ে তাঁর মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লক্ষ্মীরানি মণ্ডলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এমন এক মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।