সার ভর্তি ওয়াগন বিশাখাপত্তনম থেকে রওনা দিয়েছিল গত ২০১৪ সালের নভেম্বরে। গন্তব্য ছিল উত্তরপ্রদেশের বাস্তি। দূরত্ব ১৩২৬ কিলোমিটার। হিসাবমত এই দূরত্ব অতিক্রম করে গন্তব্য ছুঁতে ওয়াগনটির সময় লাগার কথা ৪২ ঘণ্টা ১৩ মিনিট। অর্থাৎ ২ দিনের কিছু কম। সেই ওয়াগন গন্তব্যে পৌঁছল ঠিকই, তবে ৪২ ঘণ্টা পর নয়। পৌঁছল ৪ বছর পর! এমন অবাক করা কাণ্ডে চমকে উঠেছেন খোদ রেলকর্তারাও।
বুধবার বিকেলে বাস্তি পৌঁছনো ওই ওয়াগন নিয়ে এখন নানা ভূতুড়ে গালগল্পও তৈরি হতে শুরু করেছে। মাঝ পথে হারিয়ে গেল কীভাবে এই সারভর্তি ওয়াগন? এ প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারছে না রেলও। তবে রেল কর্তাদের ধারণা, অনেক সময়ে ওয়াগনে সমস্যা দেখা দিলে তা রেক থেকে আলাদা করে ইয়ার্ডে পাঠানো হয় মেরামতির জন্য। সেজন্য দেরি হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু সেখানেও প্রশ্ন উঠছে যে কী এমন সারাই হচ্ছিল যে ৪ বছর লেগে গেল পৌঁছতে?
১৪ লক্ষ টাকার সারের ব্যাগ ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেড পাঠাচ্ছিল বাস্তির রামচন্দ্র গুপ্তা নামে এক ব্যবসায়ীকে। সেই বরাত সঠিক স্থানে পৌঁছতে ওই ওয়াগন ভাড়া করা হয়। কিন্তু মাঝপথে ৪ বছর হারিয়ে যায় ওয়াগনটি। তারপর আচমকা সেটি হাজির হল যথাস্থানে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে হৈহৈ পড়ে গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ।