
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার ঠিক আগের মুহুর্তে হঠাৎ হারিয়ে যায় ভারতের চন্দ্রযান বিক্রম। সেই সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় ভারতের চাঁদের মাটি স্পর্শ করার প্রথম চেষ্টা। সেই চেষ্টায় সফল হলে ভারতই হত বিশ্বের চতুর্থ দেশ যারা চাঁদের মাটিতে যান নামাতে সক্ষম হত। বিক্রম হারিয়ে যাওয়ার কষ্ট যেমন ইসরোকে গ্রাস করে তেমনই গ্রাস করে গোটা ভারতবাসীকে। চাঁদের নামার ঐতিহাসিক মুহুর্ত প্রত্যক্ষ করতে বেঙ্গালুরুতে ইসরোর দফতরে হাজির প্রধানমন্ত্রীর সামনেই কেঁদে ফেলেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। এই হতাশার মধ্যেই তখন প্রশ্ন উঠেছিল আবার কী ইসরো এই প্রচেষ্টা চালাবে? প্রশ্নের উত্তর মিলল শনিবার।
শনিবার দিল্লি আইআইটি-র ৫০ তম সমাবর্তনে হাজির হয়েছিলেন কে শিবন। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা যে আবার কী বিক্রম পাঠাবে ইসরো? শিবন সময় নষ্ট না করে উত্তর দেন অবশ্যই। অর্থাৎ ফের চাঁদে পাঠানো হবে বিক্রম। ভুলত্রুটি শুধরেই যে তা পাঠানো হবে তা পরিস্কার। শিবন জানান, ফের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই নামানো হবে বিক্রমকে। বিক্রমকে ল্যান্ড করানো নিয়ে নতুন করে ইসরো কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আজ পর্যন্ত কোনও দেশ কোনও যান নামাতে পারেনি। সেখানেই বিক্রমের নামার কথা ছিল। কিন্তু সেটি শেষ মুহুর্তে হারিয়ে যায়। এরপর কম চেষ্টা হয়নি তার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের বা বিক্রমকে খুঁজে পাওয়ার। কিন্তু সফল হতে পারেনি ইসরো। এমনকি নাসা নিজের মত করে চেষ্টা করে। কিন্তু নাসাও কোনও খোঁজ পায়নি। অনেকে মনে করছেন বিক্রম কোনও ক্রেটারের মধ্যে ঢুকে গিয়ে থাকতে পারে। সেখানেই হয়তো ক্র্যাশ ল্যান্ড করেছে সেটি। তবে নিশ্চিত করে কেউই জানেননা বিক্রম কোথায় হারাল। তাই সে কাহিনি ইতিহাস। এবার ফের নতুন উদ্যমে বিক্রম পাঠানোর উদ্যোগ ইসরো নিচ্ছে, এটাই হয়তো সবচেয়ে বড় খবর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা