চাঁদে পা দেওয়ার প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাতে কী! কবিগুরু লিখেছিলেন একবার না পারিলে দেখ শতবার। চাঁদের দক্ষিণমেরুতে নামতে গিয়ে শেষ মুহুর্তে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে ল্যান্ডার বিক্রম। বহুদিনের প্রচেষ্টা ও স্বপ্নের ইতি ঘটে। নামার ঠিক আগের মুহুর্তে হারিয়ে যাওয়া বিক্রমের খোঁজ না পেয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। পরে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফের চেষ্টা চালাবে ইসরো। কিন্তু এ প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন। সেই সবুজ সংকেত মিলল বছরের শুরুতেই। কেন্দ্র তৃতীয় চন্দ্রাভিযানে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। কে শিবন নিজেই বেঙ্গালুরুতে সেকথা জানিয়েছেন।
শিবন আরও জানিয়েছেন, তৃতীয় চন্দ্রাভিযান এই বছরের শেষেও চাঁদে পাড়ি দিতে পারে। নাহলে আগামী বছরের প্রথম দিকে। এটাই পরিকল্পনা। তবে এবার চন্দ্রযান-২-এর মত হচ্ছেনা। তৃতীয় অভিযানে থাকছে কেবল ল্যান্ডার ও রোভার। দ্বিতীয় অভিযানে যেমন একটি অরবিটারও ছিল, তা তৃতীয় অভিযানে থাকছে না। তবে তৃতীয়বারও চাঁদের এখন যেখানে কেউ যান নামাতে পারেনি, সেই দক্ষিণমেরুতেই যান নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরো। যেখানে ল্যান্ডার বিক্রমকে নামাতে গিয়ে মিশন বিফল হয় গত বছর।
দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানে অরবিটার থাকায় খরচ একটু বেশি হয়েছিল। ৯৬০ কোটি টাকার প্রকল্প ছিল সেটি। এবার তৃতীয় অভিযানে অরবিটার নেই। তাই খরচ একটু কম হবে। ৬১০ কোটি টাকার প্রকল্প করা হচ্ছে তৃতীয় অভিযানে। যারমধ্যে ২৫০ কোটি টাকা খরচ হবে ল্যান্ডার ও রোভারের পিছনে। ৩১০ কোটি টাকা খরচ হবে যে রকেটে ল্যান্ডার ও রোভার মহাকাশে পাড়ি দেবে সেটি বানাতে। দ্বিতীয় অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। তাই তৃতীয় অভিযানে আরও সতর্ক থাকছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা